বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ শুনানি শেষে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Recruitment Scam) মোট ২৫৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta High Court ) বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে।
‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো চাকরি বৈধ হওয়া উচিৎ নয়’ বলেই এসএসসি মামলার রায়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, প্যানেল বাতিলের পর এসএসসি এবার নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। সমস্ত তথ্য যাচাই, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের কপি দেখে নতুন প্রকাশিত প্যানেলে যাদের যাদের নাম থাকবে তারা ফের পাবেন চাকরি। যারা দুর্নীতি করে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের চাকরি থাকবে না।
হাইকোর্ট জানায়, প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও যারা চাকরি পেয়েছেন, যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে কিংবা ওএমআর শিটে নম্বর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। ১২% সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেলের সকলের চাকরি বাতিল করে এমনই কঠোর অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের।
এবার যদি অঙ্কের হিসেবে আসা যায়, বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, ১২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত দিতে হলে সব মিলিয়ে তা মোটা অঙ্ক দাঁড়াবে।
SSC-র নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-তে বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টাকা নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা কোর্ট। তথ্য অনুযায়ী, নবম দশমে চাকরির ক্ষেত্রে একজননের স্টার্টিং স্যালারি ৪০ হাজারের আশেপাশে। ২০১৯ থেকে বেতন পেলে ২০২৪-এর মার্চ অবধি সেটা প্রায় ২৪ লক্ষের কাছাকাছি। যদি বেতন বাড়ে তাহলে তার পরিমাণও বাড়বে।
আরও পড়ুন: লক্ষীর ভাণ্ডার অতীত! এবার কড়কড়ে ১০ হাজার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, কীভাবে মিলবে?
একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে স্টার্টিং স্যালারি ৪৪ হাজারের আশেপাশে। ২০১৯ থেকে বেতন পেলে ২০২৪-এর মার্চ অবধি সেটা প্রায় ২৬ লক্ষের কাছাকাছি। গ্রুপ সির ক্ষেত্রে চাকরির একেবারে শুরুতে বেতন হয় ২৬-২৭ হাজার টাকা। স্টার্টিং স্যালারি ধরে হিসেব কষলে ২০২৪ অবধি ১৬ লক্ষর টাকার আশেপাশে হবে। ওদিকে গ্রুপ ডির ক্ষেত্রে শুরুর বেতন ১৯ হাজার টাকার কাছাকাছি। এই ধরে এগোলে ২০২৪ অবধি তা ১১ লক্ষের মতো হয়। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে SSC ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার পরবর্তীতে এই মামলার জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।