বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC case) ২০১৬ সালের প্যানেলের সকলের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল হয়েছে মোট ২৫৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ। কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta High Court ) বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো চাকরি বৈধ হওয়া উচিৎ নয়’ বলেও এসএসসি মামলার রায়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি এর চাকরি। এখন প্রশ্ন উঠছে এত সংখ্যক চাকরি বাতিলের পর রাজ্যের স্কুলগুলি চলবে কিভাবে? এই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পর্ষদের। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education ) সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এসএসসিও।
এই প্রসঙ্গে, পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, খুব শীঘ্রই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা ফাইল করা হবে। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ন্যাচারাল জাস্টিসের জন্য সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে। সেটা ফিজিক্যালি বা হলফনামার মাধ্যমে হতে পারে। হলফনামা পড়া হয়েছে বলেই আমি মনে করছি। প্রাথমিকভাবে যা বুঝছি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্ট চ্যালেঞ্জ করবে। আমরাও যত তাড়াতাড়ি মামলা ফাইল করার চেষ্টা করব।’
এত সংখ্যক কর্মীর চাকরি বাতিলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘এত মানুষের কাল থেকে স্কুলে যাওয়া বা না যাওয়া, স্কুল পরিচালনা করা, পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা বোর্ডের দায়িত্ব। স্কুল কী ভাবে চলবে সেই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন নির্দোষ প্রার্থী যাতে বঞ্চিত না হন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হব। কেন আমরা হাইকোর্টের রায় মেনে নিতে পারিনি, তা ন্যায়সঙ্গত ভাবে আমরা শীর্ষ আদালতে জনাব।’
আরও পড়ুন: ১২% সুদ সহ ফেরাতে হবে বেতন! এক এক জন চাকরিহারাকে কত টাকা দিতে হবে জানেন?
প্রসঙ্গত, চাকরি বাতিলের পাশাপাশি প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও যারা চাকরি পেয়েছেন, যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে কিংবা ওএমআর শিটে নম্বর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। ১২% সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।