বাংলা হান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে হঠাতই উল্টো সুর গাইতে শুরু করলেন SSC এর চেয়ারম্যান। তিনি খোলাখুলি বলেছিলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করব কী করে?’ কিন্তু এর আগে যা বলেছিলেন তার একদম উল্টোপথে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এবার তিনি বলেন, ‘চাকরিহারাদের মধ্যে থেকে যোগ্য-অযোগ্য সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব’। চেয়ারম্যানের জবাবের পর থেকেই বেশ আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছিলাম হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে। বিতর্কিতদের তালিকা দেব সুপ্রিম কোর্টের কাছে। যারা দোষী নন, SSC সবসময়ই তাদের পাশে আছে। এর আগে ২৬,০০০ চাকুরি বাতিল হয় হাইকোর্টের নির্দেশে। তারপর সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে যায় SSC। আর সেদিনই এসএসসি চেয়ারম্যান তাদের ৩টি হলফনামায় বিতর্কিত প্রার্থীদের এক তালিকা দেন।
তবে এর আগে বয়ানে এসএসসি চেয়ারম্যান এও বলেন যে, কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য তা বলা সম্ভব হচ্ছেনা। তার কথায়, ‘যোগ্যদের আমি সার্টিফাই কীভাবে করব। এভাবে সার্টিফাই করা সম্ভব না।’ তবে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ধাক্কা খায় এসএসসি। কারণ হাইকোর্টের যে রায়কে তারা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিল সেই রায়কেই বহাল রাখা হয়েছে। এরপর আজ উল্টোকথা শোনা যাচ্ছে এসএসসির চেয়ারম্যানের থেকে।
আরও পড়ুন:তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মিলবে মুক্তি! প্রবল ঝড়বৃষ্টি নিয়ে আসছে লা নিনা, সুখবর দিল আবহাওয়া দফতর
আগে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যাবেনা বললেও এবার তার মনে হয়েছে যে, তাদের মধ্যে আলাদা করা সম্ভব। এদিকে করুণাময়ীতে ব্যপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরীহারারা। আচার্য ভবনকে ঘিরে খুব জোর বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। সেখানেই চাকরিহারাদের দাবি, ২৪ ঘন্টার মধ্যে নতুন তালিকা দিক এসএসসি, সেখানেই যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করুক তারা।
আরও পড়ুন:ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না সোনিয়া, রায়বেরলির প্রার্থী রাহুল! আমেঠিতে কী জামাইবাবু? বড় ঘোষণা কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, বাংলার বুকে লোকসভা নির্বাচনেও আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর। মোট ২৬,০০০ জনের চাকরি যাওযার ঘটনায় স্তম্ভিত বাংলা সহ পুরো দেশ। আর এবার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে যোগ্যদের পুনরায় বহাল করার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ধমানের জনসভা থেকে মোদি বলেন, লিগাল সেল গড়ে সহায়তা দেবে বিজেপি।