বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একধাক্কায় বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ বহাল রেখে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যার জেরে চাকরি হারান ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এই ইস্যুতেই উচ্চ আদালতে আদালত অবমাননার মামলা ভিত্তিহীন বলে দাবি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। তার প্রেক্ষিতে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
দুর্নীতির জেরে গত বছর ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। গত ৩ এপ্রিল রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের রায় বহাল রেখে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন করে এদেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ‘দাগি’ চাকরিহারাদের মাইনে ফেরানো সহ বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেগুলি কেন কার্যকর হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। এদিন হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতেই বড় প্রশ্ন তোলে স্কুল শিক্ষা দফতর (School Education Department)।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে কখনও পর্যটকদের ওপর হামলা হয়নি! এবার কেন প্রাণ নেওয়া হল তাদের? কারণ জানালেন জঙ্গিরাই
চাকরি বাতিল করার নির্দেশ বহাল থাকলেও কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির কিছুটা বদল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে মামলা করতে হলে শীর্ষ আদালতে করতে হবে বলে সওয়াল করে স্কুল শিক্ষা দফতর।
পাল্টা আবেদনকারীদের মধ্যে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) দাবি করেন, নির্দেশের বিষয়বস্তুর ওপর ব্যাপকভাবে কোনও বদল করা হয়নি। হাইকোর্টের রায়ের মূল উদ্দেশে শীর্ষ আদালত কোনও বদল করেনি। সেই কারণে উচ্চ আদালতে এই মামলা করা যায়।
সওয়াল-জবাব শোনার পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই বিষয়টি আবেদনকারীকেই স্পষ্ট করতে হবে। এই বিষয়ক তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এর ফলে স্কুল শিক্ষা দফতর ও স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সাময়িক স্বস্তি পেল বলে মনে করা হচ্ছে।