SSC দুর্নীতি মামলায় আরো বিপাকে পার্থ! ওনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে তৃণমূল সরকারের। সম্প্রতি, এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সিবিআই অফিসে হাজিরা থেকে শুরু করে হাইকোর্টেও মুখ পুড়েছে তাঁর আর এইবার সেই বিতর্ক আরো বাড়িয়ে তুলে তৃণমূল সরকার এবং পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন তৃণমূল আমলে এসএসসির প্রথম চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল।

এসএসসি মামলায় যখন দিনের পর দিন একাধিক নতুন তথ্য উঠে আসছে সকলের সামনে, তার মাঝেই এদিন অবশেষে মুখ খুললেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। বলে রাখা ভালো, বাংলায় তৃণমূলের প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরেই 2011 সালের জুন মাস থেকে 2013 সালের অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন তিনি। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এদিন বলেন, “প্যাডের পর প্যাড দিয়ে সুপারিশ পাঠানো হতো আমার কাছে। তালিকা করে দেওয়া থেকে শুরু করে চাকরি দেওয়ার জন্য অনেক জায়গা থেকে চাপ আসত। এক্ষেত্রে নেতারা তাদের চালককে পাঠালেও তাদের প্রত্যেককেই আমি চিনি। কিন্তু ক্রমশ চাপ দেওয়া সত্ত্বেও আমি হার মানিনি।

পরবর্তীতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এরপর একদিন তৎকালীন তৃণমূল দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাকে ডেকে পাঠান। ওর কাছে হাজির হতেই উনি আমাকে পদ ছেড়ে দিতে বলেন। আমার প্রতি এহেন ব্যবহারের জন্য শেষ পর্যন্ত আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হই। এরপর আমাকে সেই পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো রকম অনুরোধও করা হয়না তাঁর পক্ষ থেকে।”

স্বভাবতই, তাঁর এই মন্তব্যের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও এই অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এরপর ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে পার্থর সমালোচনা করলেও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এদিন প্রশংসা শোনা যায় চিত্তরঞ্জন বাবুর গলায়। তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আমাকে কোনদিন চাপ দেন নি, এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার আমাকে ডেকে কোনরকম কম্প্রোমাইজ করতে মানা করেন।”

এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান আরো বলেন, “আমি পদে থাকাকালীন এসএসসি পরীক্ষায় কার্বন লেস ডুবলিকেট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু তারপর সেটিকে বদলে ফেলা হয়, কিন্তু কারা এই সিদ্ধান্ত নেয় এবং কি কারনে নেওয়া হয়, সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই।”

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর