বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Conmission) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। সেই ধারা বজায় রেখে এবার পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী প্রসন্নকুমার রায় প্রসঙ্গে সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রসন্নকুমার রায়ের উপর নজর রয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের। ইতিমধ্যে তাঁর কোটি কোটি টাকার ব্যবসার হদিশ মিলেছে। আর এবার সূত্র মারফত উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
CBI সূত্রের খবর, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রসন্নকুমার রায়ের নামে ১০০ টি কোম্পানি রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোম্পানির দিক থেকে পার্থ ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী টাটা এবং গৌতম আদানিকেও মাত দিতে সক্ষম। টাটা এবং আদানির নামে কোম্পানি সংখ্যা যথাক্রমে ৩০ এবং ৭ টি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, প্রসন্ন রায়ের নামে এত কোম্পানি থাকার পিছনে রহস্য কি?
সিবিআইয়ের অনুমান, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায় এবং তাঁর কোম্পানির মাধ্যমেই সকল কালো টাকাকে সাদা করা হতো। এসকল কোম্পানিগুলি এক্ষেত্রে দুর্নীতিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দা অফিসারদের। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পার্থ ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর নামে ইতিমধ্যে ৮৩ টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, এগুলির মধ্যে ৮০ টি লিমিটেড লায়াবিলিটি পার্টনারশিপ এবং বাকি ৩ টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর মধ্যে প্রায় সকলগুলিতেই ডিরেক্টর কিংবা পার্টনার পদে রয়েছেন প্রসন্ন এবং কোনোটিতে আবার রয়েছেন তাঁর স্ত্রী কাজল রায়।
উল্লেখ্য, এসএসসি কাণ্ডে বাংলায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। দুর্নীতির মূল উৎস খুঁজতে তৎপর তারা। এক্ষেত্রে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছে এতগুলো কোম্পানি কোথা থেকে এলো কিংবা কোম্পানিগুলির পিছনে কিভাবে কালো ব্যবসা পরিচালনা করা হতো, তা বর্তমানে চর্চার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রসন্ন রায়ের অফিসগুলির ঠিকানা প্রসঙ্গে একাধিক তথ্য মিলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অফিসগুলি প্রধানত রাজারহাট, লেকটাউন এবং বাঙ্গুর এলাকাতেই গড়ে ওঠে। একইসঙ্গে এসকল কোম্পানিগুলিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আর কোন কোন ব্যক্তি এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, তা খুঁজে বার করতেই বর্তমানে উঠেপড়ে বসেছে সিবিআই।