বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আশঙ্কাই সত্যি হল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল (SSC Recruitment Case) নিয়ে রিভিউ পিটিশন শুনলেন না বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। মঙ্গলবার অবসর নিয়েছেন তিনি। ফলে ওই মামলা আর শোনা হল না প্রধান বিচারপতির। এরপর নতুন বেঞ্চে এই মামলা উঠবে। তবে কোন বিচারপতি শুনবেন তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
জটে ২৬০০০ চাকরি | SSC Recruitment Case
২৬০০০ চাকরি বাতিল (SSC Scam) মামলায় রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম দরবারে গিয়েছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা যায়। তবে এবার প্রধান বিচারপতির অবসর গ্রহণের পর অন্য বেঞ্চে হবে শুনানি।
হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে গত ৩ এপ্রিল এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে এক ধাক্কায় ২৫ হাজার ৭৩৫ জন চাকরি হারান। এক বারে এত সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় সমস্যা শুরু হয়। সুপ্রিম রায়ে সাময়িক পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল পড়ুয়া সহ মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথায় মাথায় রেখে রায়ে পরবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কখন DA মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠবে? শুনানি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট
পর্ষদের আবেদন ছিল, এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি এক সঙ্গে বাতিল হলে শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় ধাক্কা লাগবে। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে। এরপর গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের আবেদন মেনে সাময়িক রায় পরিবর্তন করে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্টের নির্দেশ ছিল, দাগি নন এমন ও অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন। তাঁদের বেতনও বহাল থাকবে।
তবে আদালতের সাফ নির্দেশ ছিল, ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। তবে সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি এখনও। উল্টে রিভিউ পিটিশন করে রাজ্য সরকার। সেই আবেদন অবশ্য এখনও গৃহীত হয়নি। সপ্তাহ খানেক পেরিয়ে গেলেও মামলাটি চেম্বারে যায়নি বলে খবর।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/d-iyaf2OqE4?si=uQL68plRTWSevaJs
উল্লেখ্য, বুধবার দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি বিআর গবই। দেশের ৫২তম প্রধান হবেন বিচারপতি গবই। আগামী ছ’মাসের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে থাকবেন তিনি।