বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের রায়ে ঝুলছে ২৬০০০ ভাগ্য। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি চাকরি (SSC Recruitment Scam) বাতিল মামলার শুনানি। এর আগে বেশ কয়েকবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বারংবার শুনানি পিছিয়ে গেছে শীর্ষ আদালতে।
শেষবার ১০ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি। এর আগেও একাধিকবার সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) পিছিয়েছে শুনানি। ফের সেই একই ঘটনা। কিন্তু ফের সেই শুনানি পিছিয়ে যায়। কেন শেষবার পিছিয়ে দেওয়া হয় শুনানি? এই নিয়ে আদালত তরফে জানানো হয়, একই দিনে আরও একাধিক মামলার শুনানি ছিল। তাই এই মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী শুনানি কবে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেই দিনের দিকে চেয়ে রয়েছেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে সেদিন আদালতে এই মামলা উঠলে মামলার জট কিছুটা খুলবে। প্রসঙ্গত, এই মামলার জেরে এখনও ভাগ্য ঝুলে রয়েছে এই ২৬০০০ জনের। এর আগে গত ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে সেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২১ দিনের জন্য। তারপর থেকে মামলা আর শুনানির জন্য ওঠেনি শীর্ষ আদালতে।
পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর ৩ সপ্তাহ পর ৬ অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সময়ের অভাবে সেবারেও শুনানি হয়নি। এরপর ১০ তারিখ SSC মামলার শুনানির সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। উচ্চ আদালতের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ব্যাপার! ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে..,’ রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের, তোলপাড়
ওদিকে হাইকোর্টের রায়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে আপাতত সকলেরই চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে শিক্ষকদের চাকরি তো যাবেই পাশাপাশি ফেরত দিতে হবে বেতনও।