বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে উত্তাল গোটা বঙ্গ। দীর্ঘদিন পর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বেআইনি নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। অন্যদিকে, ভুয়ো নিয়োগের তালিকা সামনে আসতেই রীতিমতো চক্ষু চরকগাছ। তালিকা প্রকাশ হতেই সেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক শাসক দলের ঘনিষ্টদের নাম। সেই ধারাই অব্যাহত রেখে এবার ফের প্রকাশ্যে উঠে এল একজোটে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলার তৃণমূল (Trinamool) বিধায়ক (MLA) মহম্মদ আলির ভাইপো ও ভাইঝির নাম।
কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বিধায়কের ভাইপো ও ভাইঝি দুজনেরই আবেদনের আইডি একদম পরপর। অন্যদিকে, দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। মোট ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় ৫৩ পেতে গেলে মাত্র ২ টি ভুল থাকবে ওএমআর-এ। কিন্তু এসএসসি-র তরফে প্রকাশিত ‘আনসার কি’ মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে পি দুজনের কারও ৫৩ পাওয়ার কথা নয়। দুর্নীতির এই বহর নিয়েই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
উল্লেখ্য, তালিকাতে নাম রয়েছে মহম্মদ রকিবুল হাসান ও নৌসিন আখতারের। অভিযুক্ত দুজনই বর্তমানে দুই স্কুলের ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকুরীরত। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক মহম্মদ আলি। বিধায়কের দাবি, ‘আমার তিন ভাই। ভাইপো-ভাইঝির সংখ্যা মোট ৬। প্রত্যেকেই বর্তমানে ছাত্র বা ছাত্রী। চাকরি করে না কেউই, ফলে বাদ পড়ার প্রশ্নও ওঠে না।’ পাশাপাশি যাঁদের নাম বলা হয়েছে তাঁরা কেউই সম্পর্কে তাঁর ভাইপো বা ভাইঝি নন বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক।
অন্যদিকে এ বিষয়ে তৃণমূল বিধঁতে সময় ব্যয় করেনি গেরুয়া শিবির। মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাসের অভিযোগ, ‘রকিবুল হাসান ও নৌসিন আখতার বিধায়ক মহম্মদ আলিরই ভাইপো, ভাইঝি। চুরির কথা কেউই নিজে স্বীকার করেন না, তাই দুর্নীতি হয়েছে বলেই পাশ কাটিয়ে যেতে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছেন বিধায়ক।’