বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৬ তারিখ ভাগ্য নির্ধারণ। তবে তার আগেই ঘুরে গেল মোড়। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে SSC-র ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলা (SSC Recruitment Scam)। এরই মাঝে এবার সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্যদের তালিকা দিয়ে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। জানানো হল মোট ‘অযোগ্য’দের সংখ্যা।
সুপ্রিম কোর্টে ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড় (SSC Recruitment Scam)
এদিন স্ক্রুটিনি করে অযোগ্যদের তালিকা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জমা করেছে এসএসসি। সেই তালিকা অনুযায়ী, চারটি ক্যাটাগরি মিলিয়ে ২০১৬ SSC প্যানেলে মোট অযোগ্য চাকরির সংখ্যা ১৪৬১। কমিশনের দাবি এই ১৪৬১ চাকরির কোনওটাই সুপারিশ করেনি তারা। এদিন অযোগ্যদের তালিকা সহ সেই ১৪৬১ জনের নাম, রোল নম্বর সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ‘অযোগ্য’দের তালিকা সুপ্রিম কোর্টকে গ্রহণ করার আবেদনও জানিয়েছে কমিশন। তবে OMR শিট অর্থাৎ উত্তরপত্রের বিকৃতি নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি বোর্ড।
এসএসসি-র দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, গ্রুপ-C তে অযোগ্য ৩৮১ জন, র্যাঙ্ক জাম্প ১৩২, প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ ২৪৯। একই ভাবে গ্রুপ ডি-তে অযোগ্য ৬০৮, র্যাঙ্ক জাম্প ২৩৭ এবং প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ ৩৭১। নবম-দশমে অযোগ্য ১৮৫, র্যাঙ্ক জাম্প ৭৪ আর প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ ১১১। একাদশ দ্বাদশে অযোগ্য ৩৮, র্যাঙ্ক জাম্প ২০, প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ ১৮।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া ২৫৮৪৪ চাকরিই যোগ্য বলে এদিন আদালতে জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে WBBSE (West Bengal Board Of Secondary Education) ‘যুক্তি’ দিয়ে জানিয়ে দিল চাকরিতে ‘যোগ্য-অযোগ্য’ বলতে কিছু নেই। সকলেই যোগ্য। কোনও অনিয়ম নেই।
পর্ষদের দাবি, এসএসসি-বোর্ড চাকরি ধরে ধরে স্ক্রুটিনির পর এই তথ্য উঠে এসেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া ওই ২৬ হাজার চাকরির মধ্যে নবম-দশম সহকারী শিক্ষক পদে যোগ্য চাকরি ১৩০৫৬। একাদশ-দ্বাদশ সহকারী শিক্ষক পদে ৫৭৫৭, ক্লার্ক পদে ২৪৮৪ এবং গ্রুপ ডি পদে যোগ্য চাকরির সংখ্যা ৪৫৪৭।
বোর্ড জানিয়েছে, চাকরি নিয়ে এসএসসি-র সঙ্গে তাদের কোনও তথ্যগত পার্থক্য নেই। এসএসসির সুপারিশ দেখেই নিয়োগ করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আরও যুক্তি, কাউন্সিলিংয়ের পরে অনেকে যোগদান করেন না। যার জেরে শূন্যপদ থেকে যায়। সেক্ষেত্রে একাধিক সুপারিশ বা নিয়োগপত্র দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফার পর আরও বিপাকে অখিল! এবার হাতছাড়া হল আরও একটি জিনিস
এভাবে একটি ‘ভুল’ শূন্যপদের (সেই বিষয় বা স্কুলে অনুমোদিত পদের অনুপস্থিতি) জন্য সেখানে বিকল্প সংশ্লিষ্ট শূন্যপদ বা সুপারিশগুলিকে দিয়ে থাকে কমিশন। সেক্ষেত্রে একই প্রার্থীর দুটি সুপারিশপত্র এবং তার নামে দুটি নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। তবে যদিও একটি কার্যকর এবং পরে অন্যটি বাতিল করে দেওয়া হয়। এই যুক্তিই আদালতে দেখিয়েছে WBBSE।