SSC কাণ্ডে বড় খবর! সোজা যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি চাকরিহারাদের! হঠাৎ কী হল?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো হয়ে গিয়েছে। সেখানে চাকরি পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা প্রচুর। গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে নিয়ে শীর্ষ আদালত সাময়িক স্বস্তি দিলেও আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেননি চাকরিহারারা। এবার যেমন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) চিঠি দিলেন তাঁরা।

যোগী, রাহুল, বিজয়নকে চিঠি চাকরিহারাদের (SSC Recruitment Scam)!

সুপ্রিম-রায়ে চাকরি বাতিলের পর থেকেই আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী, চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চের তরফ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আপাতত সেই কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেই সামনে আসছে যোগী, রাহুলদের চিঠি দেওয়ার খবর।

জানা যাচ্ছে, পুলিশের তরফ থেকে একপ্রকার আশ্বাস পাওয়ার পর নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট সংগঠন। তবে সেই কর্মসূচি যে একেবারে বাতিল হয়ে গিয়েছে তা কিন্তু নয়। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে এখনও অনড় তারা। দেখা করতে না দিলে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ প্রায় ৪০% বেতনবৃদ্ধি! সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! কবে থেকে হাতে আসবে?

প্রশাসনকে রফাসূত্র বের করতে আপাতত সময় দিয়েছে চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ। তবে লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে পাশে থাকার আবেদন জানিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, লোকসভা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

SSC recruitment scam uncertainty over school teacher return to their old work place

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির জেরে গত বছরই বাতিল হয়েছিল প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি অবশ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। যে সকল শিক্ষকরা ‘অযোগ্য’ ও ‘দাগি’ নন, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশই রয়েছে।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X