বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল (SSC Recruitment scam) নিয়ে যখন ধুন্ধুমার সেই সময়ই কিছু জনের জন্য আশার আলো। অভিযোগ উঠেছিল সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করে দুর্নীতি করেছিল মন্ত্রীসভা! মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা উঠলে সেই নিয়ে হাইকোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
চাকরি বাতিলের মধ্যেই নিয়োগ নিয়ে সুখবর? SSC Recruitment scam
অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিতেই নতুন করে নিয়োগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সুপ্রিম নির্দেশে আশার আলো দেখছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। কিছু সময় আগের কথা এসএসসির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৬ হাজার শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলার মধ্যে এই নিয়ে নতুন করে শুরু হয় চাপানউতোর।
সুপারনিউমেরারি পদ নিয়ে মন্ত্রিসভার অনুমোদন মেলে। এরপর সেই মত জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। এরপর এই নিয়ে মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এভাবে সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত নয়। এসএসসিতে নিয়োগের জন্য প্রায় ছ’ হাজার সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, যারা অতিরিক্ত পদ তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছর এপ্রিল মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রশিদির বেঞ্চ চাকরি বাতিল করে রায় দেয়, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের সব দফতরের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তৎপর! মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা
পরে সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এসএসসি, রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি অফিসার বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। ২৬০০০ চাকরি বাতিলের পর মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে।
গতকাল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের যে নির্দেশ ছিল তা খারিজ করা হচ্ছে। ২০২২ সালে ১৭০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল SSC। প্রাথমিকে ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং ওয়ার্ক এডুকেশন শিক্ষক পদে চাকরি পেতেন তারা। তবে এরই মধ্যে শূন্যপদ সৃষ্টি নিয়ে মামলার কারণে কমিশনের সুপারিশ মেলার পরও আটকে ছিল গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া।
এই নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী গতকাল বলেন, ‘এই শূন্যপদ নিয়ে মামলাটির কারণেই এতদিন তারা নিয়োগ পাইনি। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর যোগ্য অপেক্ষারত প্রার্থীরা নিয়োগ পেতে চলেছেন’।