বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় গত সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এক কলমের খোঁচায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫৩ জন। আদালতের রায় অনুসারে, ওএমআর শিটের (OMR Sheet) মূল্যায়নে গলদ এবং সেই শিটগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়া ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের অন্যতম কারণ।
এদিকে ২০১৬ সালেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র সংরক্ষণের নতুন নিয়োগ চালু হয়েছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী, মাত্র ১ বছরের জন্য ওএমআর সংরক্ষণ করা হয়। তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বর্তমানে যিনি জেলবন্দি। হাই কোর্টের প্যানেল বাতিলের রায় ঘোষণার পর ২০১৬ সালে চালু হওয়া সেই বিধির দিকেই কার্যত আঙুল তোলেন এসএসসি (School Service Commission) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘আসল ওএমআর যদি আজ সংরক্ষিত থাকতো, তাহলে বিষয়টা এতদূর গড়াত না। এত আইনি জটিলতা তৈরি হতো না। আলাদা করে তদন্ত করা, উদ্ধার করা, সেগুলি আইনত গ্রাহ্য কিনা, এসব প্রশ্নও উঠে আসতো না’। রাজ্য সরকার এবার অবশ্য সেই বিধি সংশোধন করতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ CBI-র হাতে ২০২২ সালের চিঠি! সুপার নিউমেরিক পোস্ট থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল? ব্রাত্য বললেন…
রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি এবার থেকে এসএসসির পরীক্ষার ওএমআর শিট কমপক্ষে ১০ বছর সংরক্ষণ করে রাখতে হবে’। পাশাপাশি সুপার নিউমেরিক পোস্টে নিয়োগ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
আদালতের রায়ে অতিরিক্ত শূন্যপদে (সুপার নিউমেরিক পোস্ট) নিয়োগকে অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিশানা করেন ব্রাত্য। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীসভার অনুমোদনে তৈরি অতিরিক্ত শূন্যপদগুলি থেকে রাজ্য সরকার একটিও চাকরি দেয়নি। রাজ্য সরকারের বানানো অতিরিক্ত শূন্যপদ থেকেই একজন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অথচ তিনিই আবার অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন’।
আদালতের রায়ে এখন এই সুপার নিউমেরিক পোস্টে নিয়োগকেই অবৈধ বলে উল্লেখ করার পর ব্রাত্যর প্রশ্ন, ‘এটা যদি অনৈতিক আড়ালের চেষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে উনি তো বলতে পারতেন এসএসসি চাকরি দিক। অতিরিক্ত শূন্যপদ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা কেন বলেছিলেন?’