বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান চলছে! এর মাঝেই মমতা-ব্রাত্যকে খোলা চিঠি চাকরিহারাদের, কী দাবি?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলমের খোঁচায় বাতিল হয়েছে ২৫,৭৫২ জনের চাকরি (SSC Recruitment Scam)। গত এপ্রিল মাসে দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চাকরিহারা হয়ে পড়েন প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পরীক্ষা দিয়ে যে চাকরি পেয়েছিলেন, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন ধোঁয়াশা! এই আবহে বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছেন চাকরিহারারা। তার মাঝেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) খোলা চিঠি লিখলেন তাঁরা।

চাকরিহারাদের (SSC Recruitment Scam) আবেদনে সাড়া দেবেন মমতা-ব্রাত্য?

‘যোগ্য শিক্ষক চাকরিহারা মঞ্চে’র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত সোমবার রাতেই মমতা ও ব্রাত্যকে মেল পাঠিয়েছিলেন। নিজেদের অবস্থার কথা বর্ণনা করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তাতে সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই এবার খোলা চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংগঠনের দাবি, বুধবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলেন তাঁরা। এক প্রতিবাদকারী বলেন, ‘মেলের জবাব না পাওয়ায় আমরা খোলা চিঠি জমা করেছি’। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারলে রফাসূত্র পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুনঃ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের প্রতি মাসে মোটা অনুদান কেন? মমতার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা

জানা যাচ্ছে, পরীক্ষায় না বসেই যাতে চাকরি সুনিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়েই আলোচনা করতে চান এসএসসি (School Service Commission) কাণ্ডে চাকরি হারানো শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। খোলা চিঠি লেখার পর মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সেই আবেদনে সাড়া দেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

Case filed against SSC recruitment scam jobless candidates by Police

উল্লেখ্য, দুর্নীতির জেরে গত বছরই ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালতও সেই একই রায় দিয়েছে। তবে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর শীর্ষ আদালত জানায়, ‘অযোগ্য’ ও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত নন, এমন শিক্ষকরা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবধি বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন। মাইনেও পাবেন। তবে শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে পুরনো রায়ই বহাল রয়েছে।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X