বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এপ্রিলের শুরু থেকেই শিরোনামে রয়েছে এসএসসি মামলা (SSC Recruitment Scam)। গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একধাক্কায় বাতিল হয় ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ না হওয়ায় চাকরি হারান সকলে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে বৈঠকের পর আশ্বাস মেলে, ২১ এপ্রিল যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। যদিও শেষ অবধি তেমনটা না হওয়ায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসবের মাঝেই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে (SSC Recruitment Scam)?
গতকাল যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশের আশায় ছিলেন চাকরিহারারা। যদিও শেষ অবধি সেই আশা পূরণ হয়নি। যা ঘিরে এসএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা। এই পরিস্থিতিতেই রাত ১২টা নাগাদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর অবধি যে সকল শিক্ষক (School Teacher) চাকরিতে বহাল থাকছেন, তাঁদের প্রত্যেককে বেতন দেওয়া হবে। তবে এই বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি বলে খবর। যা দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবাদকারীরা।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস! একাধিক জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা! একনজরে আবহাওয়ার খবর
ইতিমধ্যেই ২২ এপ্রিল মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের ঐক্যমঞ্চ। আচার্য সদনের (Acharya Sadan) সামনে ধর্না অবস্থানে সাধারণ মানুষকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির জেরে গত বছরই ২০১৬ সালের এসএসসির (School Service Commission) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছে। যার জেরে বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, যে সকল শিক্ষকরা ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ নন, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর অবধি স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবেন (SSC Recruitment Scam)। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর চাকরিহারারা আশা করেছিলেন, ২১ তারিখ যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর ফলে জটিলতা অনেকটা কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। তবে শেষ অবধি তা না হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবাদকারীরা।