বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝুলেই রইল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ভাগ্য। নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উচ্চ আদালতের পাল্টা মামলা হলে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সবার চাকরিই বহাল রেখেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সেই মামলা শুনানির জন্য উঠলে তিন সপ্তাহ পরের ডেট দিল শীর্ষ আদালত।
কেন পিছিয়ে গেল এসএসসি (SSC Recruitment Scam) মামলার শুনানি?
এদিন এসএসসি মামলা শুনানির জন্য উঠলে রাজ্য জানায় তারা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে চায়। সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্যের তরফে হাজির আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এসএসসিও হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এরপরই সেই আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং এসএসসি-সহ সমস্ত পক্ষকে এই মামলায় হলফনামা দিতে হবে। তার পরে কারও হলফনামা গ্রহণ করবে না আদালত। তিন সপ্তাহ পর ফের যে মঙ্গলবার আসবে সেই দিন এই মামলা শুনানির জন্য উঠবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রেক্ষাপট:
গত এপ্রিল মাসে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর আগে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার (SSC Recruitment Scam) শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ন জালিয়াতি।’’
এর আগে অবৈধ নিয়োগের কথা স্বীকার নেয় কমিশনও। শেষ অবধি ৮ হাজার ৩২৪ জনের নিয়োগ অবৈধ বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘এসএসসি যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না।’, সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সময় দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন: তারিখ পে তারিখ! কেন DA মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে? ফাঁস হল আসল কারণ
সেই সময় সব পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দিয়েছিল তাতে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, এখনই কারও চাকরি বাতিল নয়। যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে ২৫৫৭৩ জনেরই চাকরি আপাতত বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। আজ ১৬ জুলাই সেই মামলারই শুনানিতে আরও কিছুটা সময় নিল রাজ্য, এসএসসি।