সবাই ‘যোগ্য’, ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড়! সুপ্রিম কোর্টে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত এপ্রিল মাসে নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে এসএসসি (SSC Recruitment Scam) ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের। হাইকোর্টের রায়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তার বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতে ঝুলছে সেই মামলা। এদিকে সুপ্রিম নির্দেশে ‘যোগ্য-অযোগ্য’দের খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই।

২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড় (SSC Recruitment Scam)

চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে। এরই মাঝে হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া ২৫৮৪৪ চাকরিই যোগ্য বলে আদালতে জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে WBBSE (West Bengal Board Of Secondary Education) ‘যুক্তি’ দিয়ে জানিয়ে দিল চাকরিতে ‘যোগ্য-অযোগ্য’ বলতে কিছু নেই। সকলেই যোগ্য। কোনও অনিয়ম নেই।

পর্ষদের দাবি, এসএসসি-বোর্ড চাকরি ধরে ধরে স্ক্রুটিনির পর এই তথ্য উঠে এসেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া ওই ২৬ হাজার চাকরির মধ্যে নবম-দশম সহকারী শিক্ষক পদে যোগ্য চাকরি ১৩০৫৬। একাদশ-দ্বাদশ সহকারী শিক্ষক পদে ৫৭৫৭, ক্লার্ক পদে ২৪৮৪ এবং গ্রুপ ডি পদে যোগ্য চাকরির সংখ্যা ৪৫৪৭।

বোর্ড জানিয়েছে, চাকরি নিয়ে এসএসসি-র সঙ্গে তাদের কোনও তথ্যগত পার্থক্য নেই। এসএসসির সুপারিশ দেখেই নিয়োগ করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আরও যুক্তি, কাউন্সিলিংয়ের পরে অনেকে যোগদান করেন না। যার জেরে শূন্যপদ থেকে যায়। সেক্ষেত্রে একাধিক সুপারিশ বা নিয়োগপত্র দেখা যায়।

Supreme Court

আরও পড়ুন: মুকুলের কাছে গচ্ছিত জ্যোতিপ্ৰিয়র ২০ কোটি টাকা! সামনে হিসাব, রেশন দুর্নীতিতে নয়া মোড়

এভাবে একটি ‘ভুল’ শূন্যপদের (সেই বিষয় বা স্কুলে অনুমোদিত পদের অনুপস্থিতি) জন্য সেখানে বিকল্প সংশ্লিষ্ট শূন্যপদ বা সুপারিশগুলিকে দিয়ে থাকে কমিশন। সেক্ষেত্রে একই প্রার্থীর দুটি সুপারিশপত্র এবং তার নামে দুটি নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। তবে যদিও একটি কার্যকর এবং পরে অন্যটি বাতিল করে দেওয়া হয়। এই যুক্তিই আদালতে দেখিয়েছে WBBSE। তবে OMR শিট অর্থাৎ উত্তরপত্রের বিকৃতি নিয়ে কোনও দেয়নি বোর্ড।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর