বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কি করে হবে বাছাই? যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ কি সম্ভব? যদি হয় কিভাবে? এই প্রশ্নই এখন মূল মোদ্দা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় (SSC Recruitment Scam)। সোমবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। ২ ঘণ্টা ধরে সেই শুনানি চললেও কোনো উত্তর মেলেনি।
মূল মামলাকারীদের হয়ে আদালতে জোড়ালো সওয়াল করেন তাদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমরা। বিকাশবাবু আবারও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। তার কথায়, পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমেই যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব। আইনজীবীর আবেদন, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় যারা বসেছিলেন, বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সরিয়ে তাদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক।
যদিও ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তারা চাকরি করছেন। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্য আবার নতুন করে তাদের পরীক্ষায় বসতে হলে তা যথেষ্ট অমানবিক পদক্ষেপ হবে।
আরেক আইনজীবী ফিরদৌস শামিম সওয়াল করেন, “প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ৪ বার নিয়ম বিরুদ্ধ কাউন্সেলিং হয়েছে। নম্বরের বিভাজন ছাড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বেনিয়মে ঠাসা।” এসএসসি-কে ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করার পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: DA ভুলে যান! এবার কর্মীদের আরও বড় সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থদপ্তর
১০ ফেব্রুয়ারি ফের মামলার শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে। ওইদিন এই মামলার শুনানি শেষ করবেন চিফ জাস্টিস। সবমিলিয়ে আপাতত অন্ধকারে ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকের ভবিষ্যৎ। উল্লেখ্য, গত বছর ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। উচ্চ আদালতের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের।
আরও পড়ুন: ফিরল সবার চাকরি? SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় কি রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট? তোলপাড়
হাইকোর্টের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে আপাতত সকলেরই চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। সকলকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে শিক্ষকদের (ssc recruitment scam) চাকরি তো যাবেই পাশাপাশি ফেরত দিতে হবে বেতনও। সেই মামলাই এখনও ঝুলছে শীর্ষ আদালতে। ঝুলছে ২৬০০০ মানুষের ভাগ্যও।