বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC Scam) ইস্যুতে জট অব্যাহত। সম্প্রতি চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলাতেই এ বার বড় পর্যবেক্ষণ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে প্রাথমিকভাবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এখনই যেন ভাতা দেওয়া শুরু না হয়।
কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট? Calcutta High Court
আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিচারপতি সাফ বলেন, ‘এখনই কোনও টাকা দেবেন না’ ১ এপ্রিল থেকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে আদালতে আইনজীবী জানালে বিচারপতি সিনহা রাজ্যকে বলেন, “এখনই এই টাকা দেওয়া যেন শুরু না হয়।” কী করে এত তাড়াতাড়ি টাকা দেওয়া শুরু হয়? সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, ‘আবেদন নেওয়ার পরে তার কিছু পদ্ধতি আছে। এত তাড়াতাড়ি কী করে দেওয়া হবে!” ‘এখনই কোনও টাকা দেবেন না।’ প্রসঙ্গত, SSC কাণ্ডে চাকরিহারা সকল শিক্ষাকর্মীদের মাসে-মাসে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। সেই নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: আচমকাই সুর নরম, ইদের বার্তায় ‘ব্যতিক্রমী’ ইউনূস! ভারতের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ চাইছে বাংলাদেশ?
মমতা জানিয়েছেন, গ্রুপ সি চাকরিহারাদের মাসিক ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে রাজ্য। ‘মানবিক কারণে’ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জানায়, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টেরিম স্কিম, ২০২৫’ প্রকল্পের অধীনে এপ্রিল মাস থেকে ভাতা দেওয়া হবে শিক্ষাকর্মীদের। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতে একাধিক মামলা হয়।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/6UQ-Cfjn27Y?si=idulPKpfkiBjlWpS
আদালতে মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল, শুধু চাকরিহারাদের কেন রাজ্য সরকার ভাতা দেবে? তাদের বক্তব্য সব চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতার ব্যবস্থা করে মুখ্যমন্ত্রী যোগ্য-অযোগ্য গুলিয়ে দিয়েছেন। যদি তাদের ভাতা দেওয়াই হয় তাহলে ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সকল চাকরিপ্রার্থীদের কেন ভাতা পাবেন না? সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে চাকরিহারা শিক্ষকরা। সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি নিয়োগের জন্য যাদের চাকরি বাতিল করেছে, তাদের অনুদান দেওয়ার বিরোধীতা করে আদালতে মামলা হয়েছিল।