বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC Scam) ইস্যুতে আরও বিপাকে রাজ্য। কেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ঘরে বসে ভাতা? এদিন এই সংক্রান্ত মামলায় একাধিক প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একের পর এক প্রশ্নেবাণে রীতিমতো বিদ্ধ তৃণমূল সরকার। আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা অ্যাডভোকেট জেনারেল এজি কিশোর দত্ত।
কী রায় দিল হাইকোর্ট? Calcutta High Court
সম্প্রতি চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল হাইকোর্ট। SSC কাণ্ডে চাকরিহারা সকল শিক্ষাকর্মীদের মাসে-মাসে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)।
মমতা জানিয়েছিলেন, গ্রুপ সি চাকরিহারাদের মাসিক ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। এদিন রাজ্যের হয়ে আদালতে এজি বলেন, এই মামলা গ্রহণযোগ্যই নয়, কারণ যারা মামলা করেছেন তাঁরা সবাই ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থী। ফলত রাজ্য সরকারের ভাতার সিদ্ধান্তের ফলে তারা কোনও ভাবেই প্রভাবিত হবেন না।
এদিকে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, জনগণের করের টাকায় যে এভাবে চাকরিচ্যুতদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে তার বিনিময়ে রাজ্য সরকার কী পাচ্ছে? শিক্ষাকর্মীদের জন্য ২৫ হাজার, ২০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে কী ভাবে? আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুতদের ভাতা দেওয়ার কোনও উদাহরণ কি গোটা দেশে রয়েছে কী?
আদালতের একের পর এক প্রশ্নে দিশেহারা হয়ে যান এজি। বিচারপতির কোনও প্রশ্নেরই সুনির্দিষ্ট জবাব তিনি দিতে পারেননি। এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে তবে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত, সোমবার প্রথমার্ধে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/6UQ-Cfjn27Y?si=idulPKpfkiBjlWpS
আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিচারপতি সাফ বলেন, ‘এখনই কোনও টাকা দেবেন না’ ১ এপ্রিল থেকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে আদালতে আইনজীবী জানালে বিচারপতি সিনহা রাজ্যকে বলেন, “এখনই এই টাকা দেওয়া যেন শুরু না হয়।” কী করে এত তাড়াতাড়ি টাকা দেওয়া শুরু হয়? সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, ‘আবেদন নেওয়ার পরে তার কিছু পদ্ধতি আছে। এত তাড়াতাড়ি কী করে দেওয়া হবে!” বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘এখনই কোনও টাকা দেবেন না।’