বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক সমাজের আলো। কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎকে নতুন আলোর দিশা দেখান তারা। তবে বর্তমানে বাংলায় সেই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়েই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসে চলেছে। একইসঙ্গে দীর্ঘ ৫৪০ দিন ধরে নিজেদের অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলার বহু চাকরিপ্রার্থীরা। আজকের দিনটিকে ‘যন্ত্রণা দিবস’ হিসেবে পালন করলেন সকল আন্দোলনকারীরা।
আজ গোটা দেশজুড়ে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করা হচ্ছে। গোটা দেশে যখন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আজকের দিনটি আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয়ে চলেছে, সেখানে অপরদিকে দীর্ঘ ৫৪০ দিন ধরে অসংখ্য যন্ত্রণা এবং কষ্টের মাধ্যমে অবস্থানে বসে চলেছেন সকল চাকরিপ্রার্থীরা। তাই আজকের ‘শিক্ষক দিবস’ দিনটিকে তারা পালন করলেন ‘যন্ত্রণা দিবস’ হিসেবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার মেয়ো রোডে দুই বছরের কাছাকাছি সময় ধরে অবস্থানে বসেছেন সকল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। এক্ষেত্রে মেধাতালিকায় তাদের নাম থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগ করা হয়নি, তার দাবিতেই বিক্ষোভ করে চলেছে সকলে। এক্ষেত্রে মাঝের সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কুণাল ঘোষেরা বৈঠক করলেও মেলেনি কোনো সমাধান সূত্র। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অন্যান্য একাধিক শিক্ষা আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়েছেন। তাও বর্তমানে সকলের ছলছল চোখ তাকিয়ে নিয়োগের দিকে।
প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষক দিবসে সকল চাকরিপ্রার্থীদের হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়; সেখানে লেখা থাকে, “চোখের জলে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস। আজ হবু শিক্ষকদের যন্ত্রণা দিবস।”
অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এদিন যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের রাজ্য কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল বলেন, “বঞ্চিত চাকরিরপ্রার্থীদের প্রত্যেকটা দিন অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে কাটছে। আমাদের নিয়োগ সবার আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাও প্রত্যেকে বঞ্চিত হয়ে চলেছে। চোখের জলে প্রতিটা দিন কেটে চলেছে সকলের।”
অপর এক চাকরিপ্রার্থী জানান, “সামনেই দুর্গাপুজো। যখন সকলে আনন্দের সঙ্গে এই উৎসব পালন করবে, তখন আমরা শুধু চোখের জলে ভাসাবো। বিগত বছরগুলি আমাদের নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে সকলকে নিয়োগ করা হলে তবেই আমাদের দাবি পূর্ণ হবে।”