বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে সম্পন্ন হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) আপার প্রাইমারির বাংলা মাধ্যমের কাউন্সেলিং পর্ব। এই পর্বে মেধা তালিকায় থাকা মোট ৮৭৪৯ জনের কাউন্সেলিং করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সুপারিশ পত্র নিয়েছেন মোট ৬৬৮০ জন। তবে জানা যাচ্ছে, কাউন্সেলিংয়ের সময় অনুপস্থিত এবং উপস্থিত থেকেও শংসাপত্র নিতে অস্বীকার করেছেন এমন প্রার্থীদের সংখ্যা মোট ২০৭২ জন।
SSC-র আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিং
অর্থাৎ এবছর কাউন্সেলিংয়ের প্রথম পর্বে অনুপস্থিতির হার প্রায় ২৪ শতাংশ। প্রসঙ্গত গত বছর নভেম্বর মাসেও কাউন্সেলিং করা হয়েছিল। যদিও সেই সময় সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়নি। সেবার অনুপস্থিত ছিলেন মোট ১০২৫ জন। অর্থাৎ চলতি বছরের তুলনায় অনুপস্থিতির হার প্রায় দ্বিগুণ। এবার সব ঠিক থাকলে আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই দ্বিতীয় দফায় কাউন্সেলিং শুরু হবে।
এক্ষেত্রে অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং হওয়ার কথা। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি (SSC) চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেছেন,’এত সংখ্যক অনুপস্থিত থাকায় অবিলম্বে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং সম্পন্ন করতে হবে, তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যেই বিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে’।
আরও পড়ুন: আবাসের টাকায় ৩ তলা বাড়ি হাঁকিয়ে হোমস্টে! রেশন ডিলারের কীর্তি সামনে আসতেই শোরগোল
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার ছিল বাংলা মাধ্যমের কাউন্সেলিং এর শেষ দিন। এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছেন, ‘প্যানেলভুক্ত সমস্ত চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং দ্রুত এবং সুস্থ ভাবে সম্পন্ন করা গিয়েছে। তবে বেশ কিছু প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন, অনেকে চাকরি প্রত্যাখ্যানও করেছেন। অপেক্ষমাণ চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু করার কাজ আমরা দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করব।’
তবে এমন অনেক অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যারা সুপারিশপত্র পেয়েও স্কুলে যোগ দিতে পারছেন না। স্কুল এবং চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগে জেরবার কমিশন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং বিকাশ ভবনও। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আর্জি মেনে ৭৫০টি পদে নানা রকমের সংশোধন করেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু তারপরেও সমস্যা মেটেনি। এই সমস্যা তৈরি হয়েছে মালদা,হুগলী, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। জানা যাচ্ছে, উচ্চ প্রাথমিকে কেন্দ্রীয় রস্টার ও জেলা রস্টারের মধ্যে রয়েছে বিরাট পার্থক্য। যার কারণেই এবার সমস্যায় চাকরি প্রার্থীরা