বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে একের পর এক চাকরি বাতিলের খবর। গ্রুপ ডির পর এবার চাকরি যেতে চলেছে নবম-দশম (IX-X Teachers) শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষকের। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানাল এসএসসি (SSC)। সেইমত প্রকাশ করা হয়েছে ৬১৮ জন শিক্ষকের তালিকাও। হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশের জেরেই এই পদক্ষেপ নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণীতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছিল। চলছে মামলা। নিয়োগে যে কারচুপি হয়েছিল সেকথা হাইকোর্টের কাছে স্বীকার করে নেয় কমিশন। সেইমত ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে সুপারিশপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন আদালতের নির্দেশ মেনেই তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।
২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর হাইকোর্টে মামলা গেলে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেয় কমিশন। কমিশন তরফে এই সকল ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কথা মতোই এবার ৬১৮ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করল কমিশন।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছিল নিয়োগে মোট ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থী অনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন। ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আসার পর আদালতে সিবিআই দাবি করেছিল যারা পাশ করেছেন তাদের কারও কারও প্রাপ্ত নম্বর ৪, কারও ২৬, কিন্তু তাদের সকলকেই পাস নম্বর দেওয়া হয়েছে। সিবিআই এর অভিযোগের পর মোট ৮০৫ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় কমিশন।
এরপরই আদালত ওই শিক্ষকদের দ্রুত চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয়। কমিশনকে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাতিল প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে শুরু করার কড়া নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপর হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সেই ৮০৫ জন শিক্ষক। তবে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখায় চাকরি যেতে চলেছে এই ৮০৫ জন শিক্ষকের।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে যত শীঘ্র সম্ভব ১,৯১১ জন বেআইনি ভাবে নিযুক্ত গ্ৰুপডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমত শুক্রবার সুপারিশ পত্র বাতিলের নোটিফিকেশন জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতির কড়া নির্দেশের পর শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তড়িঘড়ি নতুনভাবে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করে দেয় কমিশন।