বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ সেই বহুদিনের। তবে এবার SSKM এর মতো বাংলার প্রথম সারির হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (TMC MLA Madan Mitra)। দীর্ঘক্ষণ ধরে চেষ্টার পরও দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করাতে না পেরে ক্ষোভপ্রকাশ হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা।
কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান শুভদীপ পাল নামে এক যুবক গুরুতর জখম হন। তাকে নিয়ে ভর্তি করাতে হাসপাতালে ছোটেন খোদ মদন মিত্র। তবে নেতার অভিযোগ, প্রায় ছ’ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সেই শুভদীপকে রেখে দিতে হয়। এরপর হাসপাতালে ঢোকার মুখেই পুলিশ এবং কর্মীদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বহু চেষ্টার পরও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি বলে অভিযোগ।
কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন ধরেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও জানান, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অরূপ বিশ্বাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মেসেজ করে বলেন, রোগীকে দেখা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে ভর্তি করানোর ক্ষমতা নেই।’’
নেতার প্রশ্ন, “ল্যাব টেকনিশিয়ানের যদি এই অবস্থা হয় তবে সাধারণ মানুষের কী হবে? এখানে টাকার খেলা চলছে। টাকা দিলে তবেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায়।” মদন মিত্র আরও বলেন, ‘‘এটা যদি সিপিএমের আমল হত, আমি এক মিনিটের মধ্যে এই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিতাম।”
গোটা এই ঘটনায় এসএসকেএম বয়কটের দাবিও জানান নেতা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তিনি। মদনের আর্জি, ‘‘যত দিন না মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করছেন, তত দিন ‘পিজিকে না বলুন’। এরপর হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘রাস্তায় যেতে যেতে যদি এই রোগী মারা যায়, ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করব। আমি সেই মামলা লড়ব।’’