বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেয়েদের বিয়ের নুন্যতম বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার কেন্দ্রের প্রস্তাবের পর থেকেই একের পর এক বিজেপি বিরোধী নেতারা এই নিয়ে বয়ানবাজি করে চলেছেন। আর সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম। এবার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এসটি হাসান এই নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত বয়ান দিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছেন।
সমাজবাদী সাংসদ শফিকুররহমনা বর্কের পর এসটি হাসানও এই ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। হাসান বলেছেন, মেয়েরা সন্তান প্রসবের উপযুক্ত হয়ে গেলেই তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিৎ। হাসান আরও বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের মধ্যে পর্ন দেখার চাহিদাও বেড়ে যায় আর তাঁদের মধ্যে তখন অনুশাসনহীনতাও দেখা দেয়।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ বলেন, ‘মহিলাদের প্রজনন আয়ু ১৬-১৭ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকে। ১৬ বছর বয়সেই তাঁর জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যায়। বিয়ে দিতে দেরি হলে অনেক ক্ষতি। একটি ক্ষতি হল সন্তান না হওয়ার সম্ভাবনা। দ্বিতীয়টি হল কেউ যদি বুড়ো হয়ে যায়, তাহলে বাচ্চাদের সুন্দর ভাবে লালন পালন করা যায় না। আপনি জীবনের শেষের দশকে যখন যাবেন, তখনও আপনাদের সন্তানরা একজন পড়ুয়া হিসেবে থাকবে। আমরা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে ভেঙে দিচ্ছি।”
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আরও বলেন, আমার হিসেবে মেয়েদের যখন প্রজননের সময় হয়ে যায়, তখন তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিৎ। যদি কোনও মেয়ে ১৬ বছর বয়সেই পরিপক্ব হয়ে যায়, তাহলে তাঁকে ১৬ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিৎ। যদি সে ১৮ বছর বয়সে ভিত দিতে পারে, তাহলে বিয়ে কেন করতে পারবে না? বাচ্চাদের সময়মত বিয়ে না দেওয়া হলে তাঁরা পর্ন ভিডিও আর ছবি দেখে।”