বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত চার বছর ধরে বেজিং এর স্টার ফিস বিমান বন্দর এর নির্মাণ কাজ চলছিল। অবশেষে বুধবার খুলে গেল এই স্মার্ট বিমান বন্দর।আয়তনে প্রায় ১০০ টি ফুটবল মাঠের সমান এই বিমান বন্দর। উপর থেকে এটিকে তারামাছের মতো দেখতে বলে এর ডানির্মাণ কাজ চলছিলক নাম হয়ে গিয়েছে ‘স্টারফিস এয়ারপোর্ট’। ইতিমধ্যেই এই বিমান বন্দরের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।এর টার্মিনাল বিল্ডিংটি প্রায় তিন লক্ষ ১৩ হাজার বর্গ মিটার জায়গায় তৈরি।এটির নাম মূলত ড্যাক্সিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। এই বিমান বন্দরে এক বিশেষ রকমের ফিল্টার কাচ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সূর্যের তাপ ৬০ শতাংশ আটকে দেবে কিন্তু আবার প্রয়োজনে ৬০ শতাংশ আলো চলাচল করতে পারবে এই কাচের ভেতর দিয়ে।বেজিং ড্যাক্সিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যাতায়াতের জন্য রাজধানী বেজিং থেকে নতুন হাইওয়ে ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
এই বিমান বন্দরের নকশা তৈরি করেছিলেন ইরাকি-ব্রিটিশ স্থপতি যার নাম জাহা হাদিদ,কিন্তু ২০১৬ সালে মারা যান জাহা।তাই বুধবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে,যে ২০২১ সালে এই বিমানবন্দর বছরে সাড়ে ৪ কোটি যাত্রী সামলাতে পারবে। ২০২৫ সালে সেটি বেড়ে সাত কোটি ২০ লক্ষ করার চেষ্টায় আছে প্রশাসন। ২০৪০ সালে বছরে ১০ কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন বলেও দাবি করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।আন্তর্জাতিক ও সেই দেশীয় অনেক বিমান সংস্থাই এই বিমানবন্দর ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথি প্যাসিফিক, ফিনএয়ার। এছাড়াও ডেল্টা, এয়ার ফ্রান্স, রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্স, ইস্টার্ন এয়ারলাইন ও চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্সও তাদের উড়ান এখান থেকে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এই বিমান বন্দর কে নতুন যুগের বিমান বন্দর বলছে নেতিজেন রা।