মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা! বাড়িতে বসেই শুরু করুন এই ব্যবসা, হবে লাখ লাখ টাকা উপার্জন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কম্পিটিশনের যুগে টিকে থাকতে হলে সবার আগে প্রয়োজন অর্থ। বর্তমান দিনে প্রতিটি মানুষই তাদের আয় বাড়াতে চায়। কিন্তু দশটা পাঁচটার চাকরিতে আর কতটুকু উপার্জন হয়! তাই তো নতুন প্রজন্ম ঝুঁকছে স্টার্টাপের দিকে। আপনিও যদি সেরকমই একজন হন যে, নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন তাহলে আমাদের আজকের প্রতিবেদন আপনার জন্যই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজকাল প্রতিটি মানুষই নিজের ফিটনেস এবং সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন হয়ে উঠেছেন। বাজারে গেলেই হাজার একটা ক্রিম আপনার চোখে পড়বে। এমতাবস্থায় অল পারপাস ক্রিম আপনার জন্য একটি ভালো বিজনেস আইডিয়া হতে পারে। গ্রাম থেকে শহর, সব জায়গাতেই বাড়ছে এই ক্রিমের ডিমান্ড। তাহলে চলুন জেনে নিই এর ইউনিট সেটআপ করা যায়।

খাদি এবং গ্রাম শিল্প কমিশন (KVIC) অল পারপাস ক্রিম ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের উপর একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট অনুসারে, অল পারপাস ক্রিমের ব্যবসা শুরু করতে মোট খরচ হবে ১৪.৯৫ লক্ষ টাকা। তবে এটি শুরু করতে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে মাত্র ১.৫২ লক্ষ টাকা। বাকিটা আপনি লোন নিতে পারেন। আপনি সহজেই ৪.৪৪ লক্ষ টাকার টার্ম লোন পেয়ে যাবেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাবসা শুরু করতে ৪০০ বর্গমিটারের একটি জমি লাগবে। আপনি চাইলে ভাড়ায়ও নিতে পারেন। প্ল্যান্ট এবং যন্ত্রপাতির জন্য আপনার খরচ হবে প্রায়, ৩.৪৩ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র এবং ফিক্সারের জন্য প্রয়োজন প্রায় ১ লক্ষ টাকা। এবং প্রি-অপারেটিভ খরচ প্রায় ৫০ হাজার। সবে মিলিয়ে ইউনিট সেটাপ তৈরি করতে প্রাথমিক খরচ হবে প্রায় ১০.২৫ লক্ষ টাকা।

all purpose cream

অল পারপাস ক্রিম থেকে উপার্জন : আপনি যদি ভালো করে মার্কেট বুঝে কাজ শুরু করেন তাহলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে বার্ষিক ৬ লক্ষ পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। ব্যবসা যত বৃদ্ধি পাবে তত আয়ও বাড়বে। আর এই ক্রিমের চাহিদা এতটাই বেশি যে বাজার দখল করা খুব কঠিন কাজ নয়।

অল পারপাস ক্রিম কি?

অল পারপাস ক্রিম একটি সাদা স্টিকি ক্রিম। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল, এটি সমস্ত ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। বাজারে বিউটি পার্লারের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। মেট্রো শহর থেকে ছোট-বড় শহর সর্বত্রই এর চাহিদা তুঙ্গে। ছোট-বড় পরিসরে এই ব্যবসা শুরু করে যে কেউ মোটা টাকা আয় করতে পারবে।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর