বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে অনেকেই প্রথাগত ভাবে চাকরির পথে না হেঁটে বিকল্প পেশাগুলির দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সেই তালিকায় বিভিন্ন যুগোপযোগী ব্যবসার পাশাপাশি রয়েছে চাষাবাদও। এমনকি, করোনা মহামারীর পর এই রেশ সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি, এগুলির মাধ্যমে ভালো অঙ্কের লাভও করছেন অনেকেই।
বর্তমান প্রতিবেদনে সেইরকমই এক লাভজনক চাষের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করা হবে। যেটি খুব অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে শুরু করে প্রতি মাসেই আয় করা সম্ভব কয়েক লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, এই চাষের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে সরকারি ভর্তুকির সুবিধাও।
খুব সহজেই শুরু করুন শসা চাষ:
আপনি যদি একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে শসা চাষ নিঃসন্দেহে একটি ভালো বিকল্প হতে পারে আপনার কাছে। শসা এমনই একটি ফল যার চাহিদা বাজারে বছরের প্রতিটি সময়েই পরিলক্ষিত হয়। শুধু তাই নয়, অত্যধিক চাহিদা থাকার কারণে এগুলির দামও থাকে আকাশছোঁয়া। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শসা বপণের মাত্র ৪ মাস পরেই, আপনি ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
এছাড়াও, এই চাষের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেবে সরকার। পাশাপাশি, কিছু পদ্ধতিগত উপায় অবলম্বন করলেই এই চাষে মিলবে সাফল্য। মূলত, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরাই প্রথম নেদারল্যান্ডসের উৎকৃষ্ট শসার বীজ বপণ করেছিলেন।
কত দিনে লাভ হবে:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শসা প্রস্তুত হতে ৬০ থেকে ৮০ দিন সময় লাগে। এছাড়া, মূলত বর্ষাকালেই শসার চাষ বেশি হয়। শসা চাষে জমির পি.এইচ. মাত্রা ৫.৫ থেকে ৬.৮-এর মধ্যে রাখতে হয়। পাশাপাশি, নদী ও পুকুরের পাড়েও শসা চাষ করা যায়।
কত খরচ হবে:
শসা চাষের ক্ষেত্রে প্রথমে একটি সেডনেট হাউস তৈরি করতে হবে। উত্তরপ্রদেশের কৃষক দুর্গা প্রসাদ ইতিমধ্যেই তাঁর নিজের জমিতে এই চাষের জন্য একটি সেডনেট তৈরি করেছেন। এরপর নেদারল্যান্ড থেকে ৭২ হাজার টাকা মূল্যের বীজ নিয়ে আসেন তিনি। বীজ বপণের ৪ মাস পর তিনি আট লক্ষ টাকার শসা বিক্রি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি সরকারের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
প্রচুর চাহিদা থাকে:
মূলত, এই উৎকৃষ্ট মানের শসার বিশেষত্ব হল এতে বীজ অত্যন্ত কম থাকে। যে কারণে সকলেই পছন্দ করেন এটি। পাশাপাশি, দেশি শসার চেয়ে এই শসার দামও বেশি। এই শসা বাজারে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। পাশাপাশি, সারা বছরই এই ফলের চাহিদা থাকে।