চাকরি ছেড়ে আজই শুরু করুন এই ব্যবসা! হবে ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি লাভ, পাবেন সরকারি সুবিধাও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান যুগে অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরির প্রতি আগ্রহী না থেকে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে ঠিকঠাক ব্যবসা করলে রয়েছে বিপুল লাভের সুবিধাও! পাশাপাশি, বিভিন্ন ব্যবসায় প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে সরকারও। তাই, যদি আপনি স্বল্প বিনিয়োগ করে চাষের মাধ্যমে অধিক মুনাফার ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার জন্যই রয়েছে এই প্রতিবেদন!

আদা চাষ এমন একটি চাষ যা করে আপনি খুব সহজেই বিপুল পরিমাণ লাভ করতে পারবেন। এমনিতেই বাজারে সারা বছর ধরে ব্যাপক হারে আদার চাহিদা থাকে। আমিষ হোক বা নিরামিষ যে কোনো পদেই ব্যবহার করা হয় আদার। এমনকি ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা’তেও দেওয়া হয় আদা। পাশাপাশি, আদার ঔষধি গুণও বিরাট। যেই কারণে প্রচুর চাহিদা থাকায় বাজারে বেশ চড়াদামে বিক্রিও হয় এটি।

আদা চাষের জন্য পূর্ববর্তী ফসলের কন্দগুলি দরকার হয়। অঙ্কুরোদগম হওয়া কন্দগুলিকে ভেঙে দু’টো অথবা তিনটে টুকরো করে একসাথে পুঁতে দেওয়া হয়। এক হেক্টর জমির ক্ষেত্রে প্রায় ১২ থেকে ১৫ টি প্রামাণ্য কন্দের প্রয়োজন হয়। যদিও, অন্তর্বর্তী ফসলগুলিতে বীজের পরিমান কম লাগে।

আদা চাষের জমির ক্ষেত্রে কিছু জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হয়। ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটারের নির্দিষ্ট দূরত্বে কন্দগুলিকে মাটিতে পোঁতা হয়। যাতে গাছগুলি ঠিকঠাক বাড়তে পারে। পাশাপাশি, বীজগুলিকে মাটির ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার গভীরে পুঁতে তার ওপর মাটির অথবা গোবর সারের আস্তরণ দেওয়া হয়।

IMG 20220102 192214

প্রায় ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যেই আদাগুলি বিক্রির জন্য তৈরি হয়ে যায়। প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ কুইন্টাল আদা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, প্রতি একরে ১২০ কুইন্টাল আদা পাওয়া যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হেক্টর প্রতি আদা চাষে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

অপরদিকে, লাভের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধরা যাক, এক হেক্টর জমিতে ১৫০ থেকে ২০০ কুইন্টাল আদা পাওয়া গেল। বাজারে আদার বর্তমান মূল্য কেজি প্রতি ৮০ টাকা। আপনি যদি তা ৫০ থেকে ৬০ টাকাতেও বিক্রি করেন তাহলেও আপনার ২৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি উপার্জন হবে। সেখান থেকে খরচা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা সরিয়ে নিলেও মোট লাভের পরিমাণ থাকবে ১৫ লক্ষ টাকা!

 


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর