বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিদিনই প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দুধের প্রয়োজন হয়। তাই অন্য কোন ব্যবসায় লাভ কিছুটা কম হলেও, দুধের ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ কিন্তু বেশ কম। বিশেষত লকডাউনের বাজারে যখন অন্যান্য সব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের মুখে দাঁড়িয়েছিল, তখন কিন্তু দুধ ব্যবসায়ীরা পুরোদমে তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। হিসেব বলছে, ২০২১ সালে আমুল (amul) কোম্পানির আয় ৩৯২০০ কোটি টাকা পেরিয়ে গেছিল।
এই আমুল কোম্পানি সকলের জন্যই আয়ের বিশাল সুযোগ করে দিচ্ছে। আপনি যদি আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দিয়ে মানুষকে দুগ্ধজাত পণ্য সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে খুব অল্প টাকা বিনিয়োগেই আপনি সাফল্য পেতে পারবেন।
আসুন জেনে নিন-
জানা গিয়েছে, আমুল কোন লাভ ছাড়াই সাধারণ নাগরিকদের ফ্র্যাঞ্চাইজি অফার করছে। দুই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি শুরু করেছে আমুল কোম্পানি। তার মধ্যে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি হল আমুল আউটলেট এবং অন্যটি আমুল আইসক্রিমাম স্কুপিং পার্লার হিসাবে দেওয়া হচ্ছে।
কোন ব্যক্তি যদি আমুল আউটলেট চালু করতে যান, তাহলে তাঁর ২ লক্ষ টাকা খরচ আছে এবং আমুল আইসক্রিমাম স্কুপিং পার্লার খুলতে গেলে খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকা। তবে আমুলের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগদানকারী ব্যক্তিকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অ-ফেরতযোগ্য ব্র্যান্ড নিরাপত্তার অধীনে কোম্পানিকে দিতে হবে। আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য শুধুমাত্র একবার আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। আর সমস্ত লাভটাই আপনি পাবেন, কোম্পানি এখানে কিছু দাবি করবে না।
আপনি যদি আমুল আউটলেট খোলেন, তাহলে প্রতিটি জিনিসের পেছনেই আপনার কমিশন থাকছে। যেখানে একটি দুধের প্যাকেট পিছু থাকছে ২.৫ শতাংশ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন থাকছে। অন্যদিকে আপনি যদি আমুল আইসক্রিমাম স্কুপিং পার্লার খোলেন তাহলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন। আবার তা জিনিসের উপর নির্ভর করে কমিশন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পেতে পারেন। পিৎজা, স্যান্ডউইচ, হট-চকলেট সহ অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রে কমিশন ভিন্ন হবে।
এইভাবে আপনি মাসে মাসে ৫-১০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে। আর যদি দোকানের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করেন, তাহলে বছরে ৬০ লক্ষ টাকা আয় করা কোন সমস্যা হবে না। বিশদে জানতে retail @amul. coop মেইল আইডিতে লগ ইন করে জেনে নিতে পারবেন।