বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশজুড়েই চাকরির পাশাপাশি বাড়ছে ব্যবসা শুরু করার প্রবণতা। জিনিসপত্রের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে উপযুক্ত ব্যবসা শুরু করলে হয় বিপুল অঙ্কের লাভও! পাশাপাশি, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় সরকারি সহায়তাও। যেই কারণে দিন দিন ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ। আপনিও খুব সহজেই ব্যবসার মাধ্যমে মাসের শেষে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই প্রতিবেদনে সেই রকমই একটি ব্যবসার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হল।
বাড়ির পাশেই থাকা জমি অথবা ফাঁকা জায়গায় খুব সহজেই শুরু করতে পারেন মুরগি পালন। ৫-৯ লক্ষ টাকার মধ্যেই শুরু করা যায় এই ব্যবসা। পাশাপাশি, এক্ষেত্রে পাওয়া যায় সরকারি সহায়তাও। কেউ যদি, ১৫০০ মুরগি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে প্রতি মাসে তিনি আয় করে নিতে পারেন ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও, যদি কেউ আরও বেশি সংখ্যক মুরগি নিয়ে এটি শুরু করেন, সেক্ষেত্রে দৈনিক ৩০০০ টাকারও বেশি রোজগারের সুযোগ থাকে।
এই ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে মুরগি পালনের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিতে হবে। এরপর খাঁচা ও যন্ত্রপাতির জন্য প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। ১৫০০ মুরগির লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করতে হলে ১০ শতাংশ বেশি মুরগি কিনতে হবে।
এই ব্যবসায়, মুরগির ডিম থেকেও আপনার প্রচুর আয়ের সুযোগ রয়েছে। এমনিতেই বর্তমানে দেশে ডিমের দাম এবং চাহিদা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এমতাবস্থায়, এই ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। পাশাপাশি, এই ব্যবসায় প্রথমেই আপনাকে মুরগি কেনার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে ৫০ হাজার টাকা। প্রতিটি মুরগি কিনতে গড়ে দাম পড়বে ৩০-৩৫ টাকা। এছাড়াও, এগুলির খাওয়ার, ওষুধ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচ রয়েছে।
খরচের দিক থেকে দেখতে গেলে, টানা ২০ সপ্তাহ মুরগিকে খাওয়াতে খরচ হবে প্রায় ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা। একটি মুরগি বছরে প্রায় ৩০০ টি ডিম পাড়ে। ২০ সপ্তাহ পর, মুরগি ডিম পাড়া শুরু করে এবং এক বছর ধরে ডিম দেয়। এদিকে, ২০ সপ্তাহ পর তাদের খাওয়ার বাবদ প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
এমতাবস্থায়, একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫০০টি মুরগি থেকে বছরে যদি গড়ে ২৯০ টি ডিম পাওয়া যায়, তাহলে মোট ডিমের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪,৩৫,০০০। খারাপ বা ভেঙে যাওয়া ডিম বাদ দিয়ে যদি ৪ লক্ষ ডিম বিক্রি করা যায়, তবে একটি ডিম বাজারে পাইকারি মূল্যে বিক্রি হয় ৪ থেকে ৭ টাকা দরে। শুধুমাত্র ডিম বিক্রি করেই এক বছরে আপনি বিরাট আয় করতে পারেন। পাশাপাশি, পোল্ট্রি ব্যবসায় ঋণে ভর্তুকি দেওয়া হয় প্রায় ২৫ শতাংশ। এমনকি, সংরক্ষিতদের জন্য (SC-ST) এই ভর্তুকি প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।