আর নেই চিন্তা! সরকারি সহায়তায় আজই শুরু করুন এই দুর্দান্ত ব্যবসা, প্রতিমাসে লাভ হবে লক্ষ লক্ষ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাল্টাচ্ছে সবকিছুই! পাশাপাশি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে মানসিকতারও। আগে অধিকাংশ মানুষের চাকরির (Job) প্রতি ঝোঁক থাকলেও বর্তমান সময়ে অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যবসার (Business) দিকে। স্বাভাবিকভাবেই, বিভিন্ন যুগোপযোগী ব্যবসারও উদ্ভাবন ঘটছে। যা থেকে উপার্জন করা যায় মোটা অঙ্কের টাকাও।

এমনিতেই ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনের মাধ্যমে একটি লাভজনক ব্যবসার প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল। চাহিদার সাথে সাথে খুব সহজেই ডিসপোজেবল পেপার কাপের ব্যবসা শুরু করে লাখপতি হওয়া যায়।

বর্তমান সময়ে কাগজের কাপের চাহিদা দিন দিন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুব কম খরচেই এই ব্যবসা শুরু করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারেন যে কেউই। পাশাপাশি, এই ব্যবসা শুরু করতে, সরকার আপনাকে মুদ্রা স্কিমের অধীনে সাহায্য করবে। মুদ্রা ঋণের অধীনে, সরকার সুদের উপর ভর্তুকি দেয়। পাশাপাশি, এই স্কিমের সাহায্যে, আপনাকে মোট ব্যয়ের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হলেও স্কিমের আওতায় সরকার ৭৫ শতাংশ ঋণ দেবে।

এদিকে, এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে পেপার কাপ তৈরির জন্য একটি মেশিন লাগবে। এই মেশিন দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, আগ্রা এবং আহমেদাবাদ সহ দেশের বিভিন্ন শহরে পাওয়া যায়। সাধারণত, এই ধরণের মেশিন প্রস্তুত করার জন্য বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা কাজ করে।

এই ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে শুরু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজন ৫০০ বর্গফুট এলাকা। যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, রং, বিদ্যুৎ, ইনস্টলেশন এবং প্রি-অপারেটিভের জন্য প্রায় ১০.৭০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও, একদম প্রথমে আপনি যদি দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরণের কর্মী রাখেন, তাহলে আপনার প্রতি মাসে প্রায় ৩৫,০০০ টাকা খরচ হবে।

Start this great business today with government support
ব্যবসাটির লাভের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে আপনি যদি বছরে মোট ৩০০ দিন কাজ করেন তাহলে সর্বমোট ২.২০ কোটি পেপার কাপ তৈরি করতে সক্ষম হবেন। প্রতিটি কাপ বা গ্লাস যদি ৩০ পয়সার দামেও বিক্রি করা যায় তাহলে সেখান থেকেই খুব সহজে হতে পারে বাম্পার লাভ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর