বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেরলে গর্ভবতী হাতি (Elephant) হত্যা নিয়ে দেশ জুড়ে উঠেছিল নিন্দার ঝড়। এরই মাঝে শোনা গেল বিহারে (Bihar) এক ব্যক্তি তাঁর নিজের সমস্ত সম্পত্তি থেকে শুরু করে এমনকি বাড়ি গাড়িও লিখে দিলেন তাঁর পোষ্য দুই হাতির নামে। সেই সঙ্গে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, হাতি না থাকলে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা কানা কড়িও পাবে না।
পাটনার জানিপুরের বাসিন্দা বছর ৫০-এর Akhtar Imam তাঁর দুই হাতি মতি এবং রানির নামে নিজের সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিলেন। সারা জীবন হাতিদের সাথে কাটানোর পর আখতারের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
জীবন কাহিনী
বিহার বাসিন্দা আখতাররে জীবনের গল্প কিছুটা অন্যরকম। তিনি জানান, তাঁর নিজের ছেলে মিরাজ তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আখতারকে জেলে পাঠিয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণ না দেখাতে পারায়, জর্জ তাঁকে ছেড়ে দেয়। আখতার জানায়, একবার এক দুষ্কৃতি তাঁকে আক্রমণ করেল, তাঁর পোষ্য হাতিকে তাঁকে প্রাণে বাঁচায়। সেই কারণেই তিনি হাতিদের আরও বেশি করে ভালোবাসেন।
পরিবারের থেকে দূরে থাকেন
বিগত ১০ বছর ধরে পরিবারের থেকে আলাদা রয়েছেন আখতার। ঐরাবত সংস্থার আধিকারিক আখতার জানিয়েছেন, তিনি ১২ বছর বয়স থেকেই হাতির দেখভাল করে। পারবারিক অশান্তির জেরে তাঁর স্ত্রী দুই পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন। আখতারের ধারণা তাঁর বড় ছেলে মিরাজ গোপনে পশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে। সেই কারণে তিনি তাঁর সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করেছেন।
হাতির নামে লিখলেন সম্পত্তি
আখতার তাঁর সম্পত্তির অর্ধেক তাঁর স্ত্রীকে দিয়েছেন। এবং বাকি সম্পত্তি, ব্যাংক-ব্যালেন্স তাঁর দুই হাতির নামে মোট ৫ কোটি টাকা লিখে দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, হাতি মারা গেলে সমস্ত সম্পত্তি চলে যাবে ঐরাবত সংস্থার কাছে। পরিবারের কেউ পাবে না।