বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের (Calcutta High Court) কড়া নির্দেশ ছিল শনিবার দুপুর ২টোর আগেই ছাত্রনেতা নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে (Sayan Lahiri) ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে মুক্তি দেয় পুলিশ। তবে বসে থাকবে না রাজ্য। সায়ন লাহিড়ির মুক্তির বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন সায়নের মা।
হাইকোর্টের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দরবারে রাজ্য…
শনিবার মুক্ত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে আমি খুশি। তবে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ যদিও নবান্ন অভিযানে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া দু’র্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে ছাত্রনেতা সায়নকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো ছেড়ে দিলেও এদিনই সায়নের মুক্তির বিরোধীতায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য
আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ২৭ অগস্ট বার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। সেই অভিযান ঘিরে দফায় দফায় পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। দু’পক্ষেরই বেশ কিছুজন গুরুতর আহত হন। নবান্ন অভিযানে পুলিশি অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও মিছিল, জমায়েত করা হয়েছে। যার জেরে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এই যুক্তিতেই ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এই প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর বিরোধীতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সায়ন। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মমলা উঠলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি? আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদেই ওই কর্মসূচি। ফলে গোটা ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ কখনই দায় এড়াতে পারেন না। এখনও পর্যন্ত তাকে কী হেফাজতে নিয়ে কোনোরকম জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ? প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:১ সেপ্টেম্বর থেকে নয়া নিয়ম! এই জিনিস নিয়ে কলকাতায় প্রবেশ নিষেধ, জারি নয়া নির্দেশিকা
পাশাপাশি বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘এই ঘটনা নিয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতাও তো প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন। তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? পাশাপাশি ওই ছাত্রনেতা যে সরাসরি নবান্ন অভিযানের অশান্তিতে জড়িত, এমন কোনও তথ্য নেই।’’ এরপরই সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেন জাস্টিস সিনহা। হাইকোর্টের আরও নির্দেশ ছিল, শুধু এই মামলায় নয়, অন্য কোনো মামলাতেও আদালতের নির্দেশ ছাড়া সায়নের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপও করতে পারবে না পুলিশ।