বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India) ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে (Punjab National Bank) থাকা সমস্ত অ্যাকাউন্ট (Account) বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত সরকারি বিভাগকে। নির্দেশে বলা হয়েছে এই দুই ব্যাংকে কোনও রকম সরকারি অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India) ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (Punjab National Bank) নিয়ে আপডেট
কর্ণাটক সরকার (Karnataka Government) সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত বিভাগকে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India) ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে (Punjab National Bank) থাকা সরকারি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই দুই ব্যাংকে থাকা সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে অবিলম্বে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে।
আরোও পড়ুন : এবার কপাল খুললো বাংলার! ব্রিটেন থেকে সরল হেড অফিস, কলকাতায় আনার প্ল্যান এই কোম্পানির
এই স্টেট ব্যাঙ্কে ও পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কে থাকা সরকারি অ্যাকাউন্টে আমানত বা বিনিয়োগ করা যাবে না। ব্যাংকগুলিতে জমা তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নির্দেশ পাওয়ার পর রাজ্যের অর্থ সচিবরা সমস্ত দপ্তরে এই নির্দেশ জারি করেছেন।
আরোও পড়ুন : আসছে সমর-২! সমর-১’র সফলতার পর নয়া উদ্যোগ ভারতের, শীঘ্রই হবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
সেই আদেশে বলা হয়েছে, এই দুই ব্যাংকে (Bank) থাকা রাজ্য সরকারের বিভাগ, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ, কর্পোরেশন, স্থানীয় সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করতে হবে। কর্ণাটক সরকারের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আত্মসাৎ হওয়া তহবিল নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলাম ব্যাংকগুলিকে।
তবে ব্যাংকগুলির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছিল বিষয়টি আদালতে রয়েছে। সম্প্রতি এই ব্যাংকগুলির সাথে ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। কর্নাটকে এই অর্থ স্থানান্তর কেলেঙ্কারির মূলে রয়েছে রাজ্য সরকারের কর্ণাটক মহর্ষি বাল্মীকি তফসিলি উপজাতি উন্নয়ন নিগম।
গত ২৬ শে মে কর্পোরেশনের অ্যাকাউন্ট সুপারিনটেনডেন্ট চন্দ্রশেখর পি তাঁর সুইসাইড নোটে এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ করে যান। তারপর চরম কোন্দল শুরু হয় কর্নাটকের শাসক দল কংগ্রেস (Indian National Congress) ও বিরোধী দল বিজেপির (Bharatiya Janata Party) মধ্যে। এরপরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হল এমন সিদ্ধান্ত।