বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলা (west bengal) জয়ের স্বপ্ন কার্যত অধরাই রয়ে গেল বিজেপি (bjp) শিবিরের। অন্যদিকে একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশ শেষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলার পরিস্থিতি। সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছিল রাজনৈতিক হিংসার আগুন। বিজেপির দাবী, তৃণমূলের অত্যাচারের জেরে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, এমনকি তাঁদের প্রাণে মেরেও ফেলা হচ্ছে।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোই নয়, তাঁদের দলে ধরে রাখাও মূল লক্ষ্য বিজেপি শিবিরের। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ স্তরে গেরুয়া শিবিরের যেসকল জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন, কিভাবে দলে তাঁদের ধরে রাখা যায়- সবকিছু নিয়েই কলকাতার হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে রাজ্য নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে বিজেপি।
নীলবাড়ি দখলের স্বপ্ন দেখেছিল পদ্ম শিবির। সেইমত টার্গেট নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন বিজেপি বহু শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরাও। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৬৯ জন এবং ২২ জন জেলাপরিষদে জিতেছিলেন। এবারে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের আশা করে অনেক নতুন পঞ্চায়েত দখলের আশাও করেছিল বিজেপি শিবির।
নির্বাচনের পূর্বে দলবদলের একটা হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। বহু কর্মী সমর্থকরা নিজেদের পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে। তেমনই গত ৮ ই মার্চ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ ১৪ জন সদস্য কলকাতায় এসে বিজেপির ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয়। তবে এখন গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা হচ্ছে, যারা এসেছেন, তাঁদের ধরে রাখা যাবে তো?
এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাংলাজুড়ে চলতে থাকা তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে অনেক বিজেপি কর্মীরা ঘর ছেড়ে ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে এখনও হাসপাতালে ভর্তি, আবার অনেকে মারাও গিয়েছেন। এখন আমাদের প্রধান কাজ হল, সেইসমস্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, ঘরছাড়াদের ফিরিয়ে আনা। দলের নেতারা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ঘুরে দেখেছেন, আমিও গিয়েছি ৩ টি জেলায়। বৈঠকে সববিষয়েই আলোচনা করা হবে’।