লোকসভা নির্বাচনের সূচনা পর্ব থেকেই বিজেপি রাজ্যে এনআরসি চালু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এনআরসি চালুর ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। এবার অসমের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন সুযোগ পেলেই রাজ্যে এনআরসি চালু করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রও একই পথে হেঁটেছিলেন। তাই এবার বিজেপির সেই আশায় জল ঢালতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার। তাই বিধানসভায় নয়া ব্যবস্থা আনতে চলেছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর এবার রাজ্যে যাতে না এনআরসি চালু করা যায় তার জন্য নাগরিক পঞ্জী রুখতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চাইছে রাজ্যসরকার।তবে শুধু একাই রাজ্য সরকার নয় এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে পারে কংগ্রেস ও বামেরাও। তাই আগামী শুক্রবার অর্থাত 6 সেপ্টেম্বর তারিখে এই নয়া প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলচনা হবে। এই নিয়ে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। যদিও প্রস্তাবটি পাশ হয় তাহলে রাজ্যে বিজেপির এনআরসি চালু করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, শনিবার অসমের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সেখান থেকে বাদ গিয়েছেন 19 লক্ষ নাগরিক। তাঁদের এখনি বিদেশি বলে আখ্যা না দেওয়া হলেও তাঁদের ভবিষ্যত কি হতে চলেছে তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন সকলেই। কারণ, বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নিতে নারাজ সেদেশের সরকার। তবে এই নাগরিক পঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই দিলীপ ঘোষণ সাংবাদিকেদের সামনে জানিয়েছিলেন, সুযোগ পেলে রাজ্যে এনআর সি চালু করা হবে। বিদেশি নাগরিকদের খুজে বের করে নাগরিকত্ব বিল পাশ করিয়ে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।