অ আ ক খ শিখবেন রাজ্যপাল! সি ভি বোসের জন্য মাস্টারমশাই নিয়োগ করল নবান্ন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার প্ৰতি প্রবল টান তার। তাই রাজ্যে এসেই বাংলা শেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। সেই মত মমতা সরকারের দৌলতে তার হাতেখড়িও হয় সরস্বতী পুজোর বিকেলে। তবে এরই মধ্যে ঘটে গেছে বহু ঘটনা। রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্কে কিছুটা চির ধরেছে। তবে তাই বলে বাংলা শেখা থেকে বিরত থাকবেন এমনটা নয়। রাজ্যের উত্তপ্ত অবস্থার মধ্যেই এক জন শিক্ষক নিয়োগ হল রাজ্যপাল বোসের জন্য।

আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্নই (Nabanna) নাকি একজন বাংলার মাস্টারমশাইকে (Bengali Teacher) নিয়োগ করেছে রাজ্যপালের জন্য। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংবিধানিক প্রধানকে বাংলা শেখানোর জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। রোজ এক ঘণ্টা করে তিনি আসবেন। সোমবার এ বিষয়ে রাজভবনের প্রেস বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।

তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোর দিন রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয়। জাঁকজমকপূর্ণ সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমোর উপস্থিতিতে রাজ্যপালের সেই হাতেখড়ি অনুষ্ঠানকে একেবারেই ভালো চোখে নেয়নি বিরোধী বিজেপি শিবির।

সেই সেময় এই হাতেখড়ি নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয় রাজনৈতিক মহলে। তবে সেসব তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছে পূরণের প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন রাজ্যপাল। সি ভি বোস রাজ্যে পা রাখার পরই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল রাজ্যপালের মুখে। যা নিয়ে জোর সমালোচনাও হয় বিরোধী মহলে।

cv bose

কিন্তু সেই দিন আর আজকের দিন। বড়সড় বদল এসেছে সেই চিত্রে। ফেব্রুয়ারীতেই রাজ্যপালের দিল্লি সফর, তারপর ফিরে এসে প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা চলছিল তৃণমূলে। এরই মধ্যে দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যপালের কড়া বিবৃতি দেওয়া আগুনে ঘি এর যোগান দেয়। এরপর তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’তে রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয় গতকাল। এই সকল বিষয় নিয়েই যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি ঠিক সেই সময় রাজ্যপালের জন্য বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করল নবান্ন।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর