বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে বহুদিন শোরগোল রাজ্যে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূল নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দপ্তরের একাধিক আধিকারিক। যা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে শাসকদলের ভূমিকা। আর এবার রাজ্য সরকারের করা এফআইআর-এও (FIR) শাসক দলের একাধিক নেতার নাম (TMC Leaders)। পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার নয়া মোড়।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। পাশাপাশি নাম রয়েছে বিনয় তামাং-এরও। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোসেরও।
পুলিশ সূত্রে খবর স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তী, বুবাই বোস সহ একাধিক চমকে দেওয়া নাম আছে রাজ্য সরকারের করা এফআইআর-এ। জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গত মঙ্গলবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিবিআই-কে জমা করার নির্দেশ দেন তিনি। জিটিএ-কেও রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত বছরই প্রকাশ্যে আসে পাহাড়ের নিয়োগ দুর্নীতি। জিটিএ-তে নিয়োগ কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি বেনামি চিঠি সামনে আসে। সেই চিঠির ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠলে সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই-কে
অনুসন্ধান করে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। ওদিকে একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের গিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: গরম যাবে চুলোয়! টানা ৭ দিন বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা, কোন কোন জেলায় সতর্কতা? আবহাওয়ার খবর
এই আবহেই এবার রাজ্যের তরফে করা এফআইআর। জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত আটকাতেই রাজ্য সরকার এফআইআর দায়ের করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হল। প্রথমবার রাজ্যের করা এফআইআরে যুক্ত হয়েছে প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্ট বা দুর্নীতি দমন আইনও।