বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত নভেম্বর মাসে রাজ্যের গাঙ্গের উপকূল বর্তী অঞ্চলে থাবা বসিয়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যার জেরে রাজ্যের কৃষকদের বৃহদাংশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এমনিতেই বসিরহাট সহ সুন্দরবনের বেশ কিছু অঞ্চল বুলবুলের দাপটে তছমছ হয়ে গেছে। ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শণ করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সময় কেটে গেলও সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি বলে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
ক্ষতি বাবদ মোট ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসেব দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য় চেয়েছিল রাজ্য। তাই এবার ছয় জেলার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার ১৩৮৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ছয় লক্ষ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যদিও নভেম্বর মাস থেকে ক্ষতিপূরণের চেক বিলি শুরু হয়েছে রাজ্যের ছয় জেলায়।
এখনও অবধি রাজ্যের কৃষকদের ১৪৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার চেক বিলি করা হয়েছে কৃষকদের জন্য। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি না পাওয়ার যে অভিযোগে তোলা হয়েছিল সেই অভিযোগ খারিজ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন চলতি আর্থিক বছরেই নাকি রাজ্যকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
যে দফতরের ওপর দায়িত্ব ছিল সেই দফতরের অধীনেই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুলবুলে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির মধ্যে বেশিক্ষতি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিস্তীরণ এলাকা। কৃষি থেকে বিদ্যুত সর্বক্ষেত্রেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য আর্থিক খরচ বরাদ্দ করল কেন্দ্র। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়াযের রিপোর্ট দেওয়া ২৩ হাজার কোটি টাকা নয়, মাত্র ৪১৪.৯০ কোটি টাকা ধার্য করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিধানসভায মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় কেন্দ্রের বুলবুলে আর্থিক ক্ষতিপুরণ দেওয়া আশ্বাসের সত্ত্বেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন।