বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যের আপত্তি। রাজ্য তরফে আপত্তি জানানোয় সম্প্রতি গোর্খা টেরিটোরিয়াল প্রশাসন (জিটিএ) শিক্ষক নিয়োগ দু্র্নীতি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajeet Bose)। তবে ফের জাস্টিস বসুর এজলাসেই মামলাটি ফেরত পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এবার সেই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করল রাজ্য।
নজিরবিহীন ঘটনা হাইকোর্টে- Calcutta High Court
প্রসঙ্গত, এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও নাম ছিল। তাদের নামে এফআইআর দায়ের হয়। কেন এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? এর আগের শুনানিতে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন জাস্টিস বসু।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই এই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিচারপতি বসু। স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। গত বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএ-তে নিয়োগ কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি বেনামি চিঠি সামনে আসে শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকে ও ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআইকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি বসুর সিঙ্গেল বেঞ্চ। আদালতে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল CBI- কে। আদালতের রায়ের পাল্টা সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চে যায় রাজ্য। যদিও সেখানে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ২৮ মার্চের বিজ্ঞপ্তি জারি করুন! শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবার রাজ্যকে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
যদিও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, রাজ্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। পাল্টা সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। সেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতদেশ দেওয়া হয়। শেষবারের শুনানিতে বিচারপতি বসু এই মামলার তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, তা জানার জন্য রিপোর্ট তলব করেন। উল্লেখ্য, আগে রাজ্যের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে এই মামলা থেকে সরেছিলেন জাস্টিস বসু।