বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য গতকালই অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে শান্তিনিকেতন পৌঁছান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর সঙ্গেই সেখানে পৌঁছান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। আজ সকাল থেকেই খোশমেজাজে দেখা গেল তাঁকে। পড়ুয়াদের সঙ্গে সেলফিও তুললেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বানতলায় ফুটওয়ার ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর৷ সেখানে তিনি দেখেন ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি৷ তা দেখে তিনি বলেন, “এর প্রধান কারণ হতে পারে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আমি তাঁকে সম্মান করি৷”
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটা না পেয়ে ব্যথিত হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজভবনে দুর্গাপূজা কমিটি আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অভিমানী সুরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের কোনো অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ পান না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা সত্ত্বেও, তা পূরণ না হওয়ায়, আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছেন যে আগামী বছর নিজেই চলে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণের বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেছেন CPI(M)-র পলিটব্যুরো সদস্য তথা রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের সংঘাতকে মূলত নাটক বলেই দাবি করলেন তিনি। এদিন ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”ফোঁটা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্র হবে অমিত শাহর দুয়ারে দিলাম কাঁটা, ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মহম্মদ সেলিমের ক্রিয়া-কলাপ-এ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সিপিআইএম নেতা তার টুইটার একাউন্টে বিজেপি বিরোধী মন্তব্য করায় সাময়িক সময়ের জন্য সাসপেন্ড করে দেয়া হয় তার টুইটার হ্যান্ডেল। সেলিম দাবি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে উদ্ধৃত করে তিনি টুইট করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির আইটি সেল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করিয়ে দিয়েছে।