ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য, মজুত খাবার, তৈরি NDRF, নজরদারি চলবে ড্রোনে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গতবছরের আমফানের দগদগে ঘা এখনও স্মৃতিপটে জ্বলজ্বল করছে। তবে এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ (cyclone yaas)। আমফান পরবর্তীতে বাংলার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক বিরাট অঞ্চল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আর আবহাওয়া দফতর (weather office) জানিয়েছে, এবারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ-রও অভিমুখ রয়েছে গোসাবা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার, বাসন্তী, ঝড়খালি সব বিস্তীর্ণ এলাকায়।

বাংলার মানুষের রক্ষার্থে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন। সতর্ক করা হয়েছে মৎস্যজীবী ও সমুদ্রে যাতায়াতকারী জাহাজগুলিকেও। এছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আগে থাকতেই সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জরুরী ভিত্তিক প্রস্তুতি।

bvkbvvb

ক্যুইক রেসপন্স টীম, NDRF টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর অঞ্চলে।

ঝড় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে এনডিআরএফ, গ্রাম পঞ্চায়েত,  পুলিশ, কোস্টগার্ড(Coast Guard), পঞ্চায়েত সমিতি, এসডিও, বিডিওদের।

Cyclone Tauktae

পাঠানো হয়েছে ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড। ঝড় পরবর্তীতে পানীয় জলের যোগান দিতে ২ লক্ষ জলের পাউচ তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে PHE- কে।

৫০,০০০ বিদ্যুতের খুঁটি মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এলাকার মানুষকে সতর্ক রাখতে মাইকিং করা হচ্ছে জায়গায় জায়গায়।

bigstock Wallisellen Switzerland Sep 241656937 1024x683 1

২৫ টি ড্রোনে করে বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ঝোরে পরিস্থিতি নজরদারি করা হবে। যোগাযোগ রাখার জন্য মজুত রাখা হয়েছে ২০টি স্যাটেলাইট ফোন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আগাম বৈঠক করে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

ঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ১১৫ টি আয়লা সেন্টার ও ২৫০ টি আইসিডিএস সেন্টারের পাশাপাশি স্কুল কলেজে উপকূলভর্তি এলাকার ৩ লক্ষ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হয়েছে বেডের সংখ্যা, মজুত রাখা হয়েছে ওষুধও।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর