বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের সাজা মুকুব করে আগাম ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও তা পালন করছে না রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, ডেথ সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কয়েদিদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে বছর খানেক আগেই। তবে তার পরও সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় বছরের পর বছর তারা জেলবন্দিই থাকছেন।
রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট | Calcutta High Court
রাজ্যের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন একজন আসামী। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, মামলাকারী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। গত বছর এপ্রিলে তার জেল মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল ডেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড।
অভিযোগ, সেই নির্দেশ এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। রাজ্যের আইন ও বিচার দফতরের সচিব ওই আসামীকে মুক্তির নির্দেশ দেয় নি। কেন সেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রুল ইস্যু করেছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
এদিকে আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, মামলাকারী সমীর দাসকে (৬০) জেল থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের যুক্তি, আসামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও সমীরের মুক্তি চাইছেন না বলে আদালতে সাফ জানান সরকারি আইনজীবী।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/AyJohssEM80?si=lEJTokHPBNNTurw0
পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবীরা বলেন, তাদের মক্কেলকে নিয়ে দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিবার তাঁকে সসম্মানে ফিরিয়ে নিতে চায়। সেই লক্ষ্যে তার মুক্তির আর্জি জানিয়েছে পরিবার। সংশোধনাগারের সুপারিনটেনডেন্টের রিপোর্ট বলছে, ওই আসামী সংশোধনাগারে তার সমস্ত দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথ পালন করেছে। অন্যদের প্রতি সম্মান বজায় রেখছে।
আরও পড়ুন: বিকেল গড়াতেই আবহাওয়ার ভোলবদল! আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে এই সব জেলায়
সুপারিনটেনডেন্ট জানিয়েছেন, সংশোধনাগারের সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনেই চলত মামলাকারী। সংশোধনাগারের চাকরিরত কর্মী আধিকারিকদেরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এই অবস্থায় ডেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ডের দেওয়া নির্দেশ কেন কার্যকর করা হবে না সেই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবীরা। এদিকে বোর্ডের নির্দেশ না মানায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি। আগামী ২৭ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেই দিন উচ্চ আদালত কী নির্দেশ দেয় সেই দিকে নজর সকলের।