বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শীতলকুচির (shitalkuchi) ঘটনায় কোন রাজনৈতিক দলের সেখানে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে শর্ত সাপেক্ষে রাজ্য সরকারকে (west bengal govt) আহত এবং নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সম্মতি দিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন চলাকালীন এই ধরণের কোন ঘোষণা করা যায় না। তবে নির্বাচন কমিশন শর্ত দিয়েছে, কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, ক্ষতিপূরণ তুলে দেবে প্রশাসন। এখানে কোন রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। সেই কারণে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে এবং নিহতদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে জানা গিয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ তাদের কাছে পৌঁছে দেবে কোচবিহারের জেলাশাসক।
শীতলকুচীর ঘটনার পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারানো চারজনের শেষকৃত্য এখনও সম্পন্ন হয়নি। এই মুহূর্তে শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সাক্ষাৎ করতে গেলে শুধু ওই এলাকাতেই নয়, পাশের এলাকা গুলোতেও অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টা মমতা ব্যানার্জি সহ বাইরের কোন নেতা কোচবিহারে ঢুকতে পারবেন না।
এই নিষেধাজ্ঞার পর শিলিগুড়ির এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে খরচের পর যে অতিরিক্ত অর্থ থাকবে, তা দিয়েই সাহায্য করা হবে শীতলকুচীর পরিবারদের। আশা করি এতে কোনভাবেই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে না!’