বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর অয্যোধ্যায় ভগবার রামের মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই মন্দির নির্মাণের জন্য ভিত্তির খোদাই করা হচ্ছে। রামলালা মন্দির নির্মাণের জন্য ৪০ ফুট গভীর একটি ভিত্তি খোদাইয়ের সময় একটি চরণ পাদুকা আর কয়েকটি প্রাচীন খণ্ডিত ভাস্কর্য পাওয়া গেছে। প্রাচীন মন্দিরগুলির এই ধ্বংসাবশেষগুলি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ন্যাস দ্বারা সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের এই অবশেষগুলি প্রত্নতাত্ত্বিক পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা করা হবে।
এর আগেও শ্রী রাম জন্মভূমি চত্বর সমতল করার সময় কয়েকটি প্রাচীন অবশেষ উদ্ধার হয়েছিল। এর আগে প্রাচীন নকশাদার শিলা উদ্ধার হয়েছিল। কয়েকটি ভগ্ন মূর্তিও পাওয়া গিয়েহচিল। প্রাচীন মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত পাথরেরও ধ্বংসাবশেষ প্রাপ্ত হয়েছিল।
সীতা রসোইতে খনন কাজের সময় রান্নার কাজে ব্যবহৃত বিশালাকার একটি শানপাথর উদ্ধার হয়েছিল। একটি বেলুনচাকিও উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়াও মানস ভবনে খনন কাজের সময় অতি প্রাচীন ভগবান শ্রী রামের পাদুকা মিলেছিল। ন্যাশের সুত্র অনুযায়ী, এই সমস্ত অবশেষ গুলো রাম মন্দির সংগ্রহালয়ের জন্য সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
রাম মন্দির নির্মাণের পর রাম মন্দির চত্বরেই একটি মিউজিয়াম বানিয়ে এই প্রাচীন ধ্বংসাবশেষগুলোকে ভক্তদের দেখানোর জন্য প্রদর্শিত হবে। রামলালার দর্শনের পর ভক্তরা ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে যুক্ত এই প্রাচীন জিনিষ গুলোকে দেখার সুযোগ পাবে। তবে বেশীরভাগ সামগ্রীই ভগ্ন অবস্থায় আছে।