বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘বাংলায় থাকা বা বাংলা বলা গুরুত্বপূর্ণ নয়’, বাংলাহান্ট আয়োজিত ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই দাবি করতে শোনা গেল যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। ‘বাঙালি কে; যিনি বাংলায় থাকেন নাকি যিনি বাংলা বলেন’ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই এহেন মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।
বাঙালি কারা সেই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যাঁরা লোক দেখানোর জন্য বাংলা নিয়ে কথা বলেন, এই একটা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি আমি বাঙালি, আমার ফেসবুক -হোয়াটস্যাপ স্টেটাসে বাঙালিয়ানা, তাতে আমার মনে হয় না বাংলার কিছু উদ্ধার হবে। বরং যেখানে যেখানে আমাদের বাংলার সংস্কৃতির গায়ে আঘাত লাগবে সেখানে সেখানে যদি আমরা প্রতিবাদে সামিল হই নিজেরা নিজেদের পরিচয় নিয়ে, আমার মনে হয় আমরা কোথাও গিয়ে প্রকৃত বাঙালি হওয়ার পরিচয়টা দিতে পারব। ‘
একই সঙ্গে বাংলা ভাষায় অন্য ভাষার আগ্রাসন প্রসঙ্গে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘বাংলা ভাষা আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করে না। বাংলা ভাষা সহাবস্থানে বিশ্বাসী। বাংলা ভাষা অত্যাচারিত হতে হতে তার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এবার আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আসছে। আবার একটা একুশে ফেব্রুয়ারি আসছে। তবে চাইব সেইরকম কোনও দিন যেন সামনাসামনি না আসে। কারও সঙ্গে কোনও ভাষায় কথা বললে সেটা সমস্যা নয়। কিন্তু সমস্যা তখনই যখন কেউ বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা বলতে জোর করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ভাষার অনেক গুলো উপভাষা। কোথাও একটা গিয়ে সেগুলোকে এক জায়গায় এনে ভাষার অস্তিত্বের লড়াই আমাদের নিজেদেরকেই চালাতে হবে।’ এদিন বাংলার ‘অপসংস্কৃতি’ প্রসঙ্গেও সরব হন এই তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, ‘কালের নিয়মে ভাষা বদলাবেই। এটা অপসংস্কৃতি নয়। যখনই কোনো বাংলা ভাষীকে অপসংস্কৃতির দোহাই দিয়ে আমরা দূরে ঠেলে দিচ্ছি ততই দূর্বল হয়ে পড়ছি আমরা। তাই নিজের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে একসঙ্গেই লড়তে হবে।’
ভাষার জন্য এগিয় এসে নিজেদের ঐতিহ্য আঁকড়ে লড়ার আহ্বানই জানিয়েছেন দেবাংশু। একই সঙ্গে অপর ভাষাভাষী মানুষকে দূরে ঠেলার পক্ষপাতীও নন তিনি। তাঁর মতে, ‘বাংলায় থাকা বা বাংলা ভাষায় কথা বলা আমার কাছে দুটোর কোনোটাই গুরুত্বপূর্ণ না, প্রত্যেকেই যেন নিজেদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।’