বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে ফিউচার আর্মির প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী সিগন্যাল টেকনোলজি ইভালুয়েশন অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন গ্রুপ (STEAG) নামে একটি এলিট ইউনিট তৈরি করেছে। এই ইউনিটটি ভবিষ্যতের কমিউনিকেশন টেকনোলজি যেমন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), 5G এবং 6G, মেশিন লার্নিং, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ইত্যাদির গবেষণা ও মূল্যায়ন করবে। এদিকে, এইসব প্রযুক্তি সামরিক কাজেও ব্যবহার করা হবে।
কমিউনিকেশন বদলে দেবে যুদ্ধের গতিপথ: এই প্রসঙ্গে গত সোমবার একজন উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, মিলিট্রি অপারেশনের জন্য কমিউনিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য যে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, যে সেনাবাহিনীর কমিউনিকেশন উন্নত এবং বিভিন্ন সৈন্যের মধ্যে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে সক্ষম, তারাই শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হবে।
কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিক STEAG-র নেতৃত্ব দেবেন: আধুনিক যুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময়ে বিভিন্ন ইউনিট এবং বাহিনীকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। এই প্রসঙ্গে একজন সিনিয়ার আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই প্রয়োজন পূরণের জন্য STEAG গঠন করা হয়েছে। এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সহায়তা করবে। যেটি দেশের ১২ লক্ষ সৈন্যের ডিজিটাল যুদ্ধের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
একজন কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে, STEAG সবধরণের তারযুক্ত এবং ওয়ারলেস যোগাযোগ সরঞ্জামের ওপর কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, মোবাইল যোগাযোগ, বিশেষ সফ্টওয়্যার সহ রেডিও, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, 5G এবং 6G নেটওয়ার্ক, আধুনিক কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং।
আরও পড়ুন: ঊর্ধসীমা ৩,০০০ টাকা! National Common Mobility Card ইস্যুতে লাগবে না KYC, নিয়ম পরিবর্তন RBI-এর
ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য বড় পরিকল্পনা: ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এটি প্রথম ইউনিট হবে যা বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা এবং নতুন আবিষ্কারের সুবিধা নিতে ও প্রতিরক্ষা খাতে এই প্রযুক্তিগুলি ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করার ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত হবে। শিক্ষা এবং শিল্পের সহযোগিতায় এই কাজটি করা হবে।
আরও পড়ুন: Jio-Airtel-এর উড়বে ঘুম! এবার 5G ইন্টারনেট আনছেন আদানি? সামনে এল রিপোর্ট
উল্লেখ্য যে, STEAG যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ প্রযুক্তি আবিষ্কার, পরীক্ষা, বিকাশ এবং পরিচালনা করবে। এটি বিদ্যমান প্রযুক্তি রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেড করে ব্যবহারকারীদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা প্রদানেও সহায়তা করবে। এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই উদ্যোগ সেনাবাহিনী, শিল্প এবং শিক্ষাজগতের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সাহায্য করবে।
‘মিথ্যা বেশি দিন চলে না!’ সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতার মন্তব্যে বিরাট শোরগোল