বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতকে (India) বলা হয় আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির দেশ। বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ ভারতের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তির খোঁজে এখানে আসেন। তাঁরা আধ্যাত্মিকতার (Indian Spirituality) খোঁজে আসেন ভারতে। উত্তরাখণ্ডে এমন একজন আধ্যাত্মিক গুরু থাকেন, যাঁর কাছে বিশ্বের তামাম ব্যক্তিত্বরা এসেছেন। কে নেই সেই তালিকায়! মার্ক জুকারবার্গ থেকে স্টিভ জবস। আজকের প্রতিবেদনে আপনাকে জানাব এই গুরুর ব্যাপারে।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে ফেসবুকের সৃষ্টিকর্তা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন এই গুরুর কথা। যেখানে তিনি এক সময় এসেছিলেন। সেই গুরুর সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন অ্যাপলের সৃষ্টিকর্তা স্টিভ জোবসের থেকে। সাক্ষাৎকারে মার্ক বলেছিলেন, এক সময় তাঁর কোম্পানি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল।
সেই সময়ে স্টিভ জোবস তাঁকে উত্তরাখণ্ডের ওই গুরুর সন্ধান দিয়েছিলেন। স্টিভ নিজেও ওই গুরুর কাছে এসেছিলেন এক সময়। সেখানে তাঁর আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। যা স্টিভের জীবন বদলে দেয়। তাই জুকারবার্গকেও তাঁর গুরুর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন স্টিভ জোবস।
স্টিভের কথা মতো মার্ক জুকারবার্গ উত্তরাখণ্ডের কাঁচি ধামে আসেন। এই জায়গাটি নৈনিতালের কাছে অবস্থিত। সেখানে বাবা নিম করৌলির কাছে জ্ঞান অর্জন করেন তিনি। বলা হয়, হনুমানজির অবতার হলেন বাবা নিম করৌলি। রিপোর্ট অনুযায়ী, সত্তরের দশকে এখানে এসেছিলেন স্টিভ জোবস।
ওই গুরুর থেকে তিনিও আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করেন। তারপরেই তিনি অ্যাপল সৃষ্টির যাবতীয় পরিকল্পনা করেন। তিনি ও মার্ক জুকারবার্গ ছাড়াও ওই গুরুর কাছে এসেছিলেন হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস। বাবা নিম করৌলির সঙ্গে দেখা করার পরেই হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন জুলিয়া।
বলা হয়, কাঁচি ধামে গেলে শরীরে ইতিবাচক শক্তি অনুভব হয়। অনেকে মনে করেন, এখানকার পাথর থেকেও ইতিবাচক শক্তি নির্গত হয়। চারদিক থেকে আসা কীর্তনের ধ্বনি মনকে চাঙ্গা করে তোলে। এই ধামে গেলে ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্থানীয়রা মনে করেন, এই মন্দিরে গেলে অস্থির মনেও শান্তি নেমে আসে।