স্মিথের পাশাপাশি রোহিতের ভারতের মাথাব্যাথা বাড়ালেন হেড! প্রথম দিনের শেষে রানের পাহাড়ে অজিরা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final) ভারতীয় দলকে (Team India) চূড়ান্ত বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে পিচ দেখে মনে হয়েছিল সেখানে ফাস্ট বোলারদের জন্য অফুরন্ত সাহায্য রয়েছে। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পর যখন রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন তখন সেই ধারণা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। ভারতীয় দল প্রথম সেশনে দুটি উইকেট বার করলেও পেসারদের যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। ভালো ব্যাটিং করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।

এরপর দ্বিতীয় সেশন শুরু হওয়ার পরেই মহম্মদ শামি ফর্মে থাকা মার্নাস লাবুশানেকে ড্রেসিংরুমে ফেরান। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে এখান থেকেই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপের পতন শুরু হবে। কিন্তু তারপর একদিক দিয়ে স্টিভ স্মিথের ধৈর্যশীল ব্যাট অপরদিক দিয়ে ট্র‍্যাভিস হেডের আগ্রাসী রণনীতি ভারতীয় বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। দুজনের মধ্যে ২০০ রানেরও বেশি পার্টনারশিপ হয়।

দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রান তুলেছে। ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে স্টিভ স্মিথ ৯৫ রানে অপরাজিত। আগ্রাসে ব্যাটিং করে ১৪৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন হেড। কাল দিনের প্রথম সেশনে দুজনকে ড্রেসিংরুমে ফেরাতে না পারলে ভারত এই ম্যাচে প্রবল চাপে পড়ে যাবে।

এই ম্যাচের প্রথম দিনে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শামি এবং সেরা ছাড়া আর কাউকে দেখে বিপজ্জনক মনে হয়নি। অনেকের মতেই রোহিত শর্মা ভুল দল নির্বাচন করেছেন। তিনি পিচ দেখে চার পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছেন ঠিকই, কিন্তু শামি এবং সিরাজ বাদে আর কাউকে দেখে সেরকম আশা জাগেনি। শার্দুল ঠাকুর একটি উইকেট পেলেও তিনি রান বিলিয়েছেন ওডিআই ম্যাচের ঢঙে। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সিরাজ ও শামি।

অনেকেই মনে করছেন যে ঠাকুরের জায়গায় যদি অশ্বিন থাকতেন তাহলে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের একাধিক বাঁ হাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে কোনও সমস্যা হয়তো তৈরি করতে পারতেন তিনি। ট্র্যাভিস হেড নিজের শতরান পূর্ণ করে ফেলেছেন এবং ধীরে ধীরে স্টিভ স্মিথও এগিয়ে চলেছেন নিজের শতরানের দিকে। তাদের আটকানো না গেলে ৫০০ রানের গন্ডিও অধরা থাকবেনা অজিদের।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর